চুল পড়া বন্ধ করার উপায়
চুল পড়া বন্ধ করার উপায় জানতে সলকেই আমরা উদগ্রীব। কেননা চুল আমাদের
সৌন্দর্যের অন্যতম এক প্রধান অংশ। তাই চুলের সৌন্দর্য ও পুষ্টি
বৃদ্ধিতে আমাদের সঠিক পন্থা অবলম্বন করা দরকার।
কিন্তু সঠিক উপায় না জানার কারণে আমরা সঠিকভাবে নিজেদের চুলের যত্ন নিতে
ব্যর্থ হয়। সেই দিক বিবেচনায় আমরা সহজে ও সঠিকভাবে প্রতিনিয়ত কিভাবে
চুলের যত্ন নিতে পারি সেসব বিষয় নিয়ে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করব।
পেজ সুচিপত্রঃ চুল পড়া বন্ধ করার উপায়
- চুল পড়ার কারণগুলো কী কী
- প্রতিদিন কী পরিমাণ চুল পড়া স্বাভাবিক
- কিশোর বয়সে অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণ
- বর্ষায় অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণ ও প্রতিরোধ
- শীতকালে চুল পড়া বন্ধ করার উপায় - শীতে চুলের যত্নে কী করবেন
- চুল পড়া রোধে যেসকল ঘরোয়া পদ্ধতি উপযোগী
- চুলের যত্নে প্রয়োজনীয় আরো কিছু দিক
- চুল পড়ার জন্য ডাক্তার দেখাবেন কিনা
- শেষ কথা - চুল পড়া বন্ধ করার উপায়
চুল পড়ার কারণগুলো কী কী
চুল পড়ার কারণ গুলো কী কী সম্পর্কে শুরুতেই জানা থাকলে চুল পড়া বন্ধ করা আমাদের
জন্য সহজ হবে। কেননা যেকোনো কিছু প্রতিরোধ করার আগে সেটির কারণ জেনে নেওয়া জরুরি।
এতে জায়গা বিশেষে সঠিক উপায় অবলম্বন করা যায়। চুল যেহেতু আমাদের সকলের শরীরে
বিশেষ একটি অংশ সেহেতু চুল পড়া বা উঠা আমাদের শরীরের বিভিন্ন কন্ডিশনের উপর
নির্ভর করতে পারে।
একেক জনের দেহে চাহিদার তারতম্যের কারণেও চুল পড়ার কারণ আলাদা আলাদা হতে পারে।
কিন্তু তারপরও বেশ কিছু দিক বা কারণ রয়েছে যেগুলো প্রায় সকলের ক্ষেত্রেই এক হয়ে
থাকে। কিছু কিছু কারণ অনেকের ক্ষেত্রে সমান হতে পারে বা অনেকের সাথে অনেকের মিলে
যেতে পারে। আবার তাদের জন্য এগুলো প্রতিকার বা প্রতিরোধের নিয়মও এক হতে পারে
অনেকাংশেই।
তো যাইহোক আগে আমরা কারণ গুলো জেনে নেয় যেনো সেই অনুযায়ী চুলের যত্ন নিতে সুবিধা
হয়। চুল মূলত একপ্রকার প্রোটিন দিয়ে গঠিত যেটিকে কেরোটিন বলা হয়। চুলের প্রায় ৯৭%
প্রোটিন ও ৩% পানি। আমরা আমদের চুলের যে অংশ দেখতে পায় সেটি আসলে মৃত কোষ। চুলে
এই প্রোটিনের অভাব দেখা দিলে চুলের নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেক সময় হুট
করেই অতিরিক্ত চুল পড়া লক্ষ্য করা যায়।
প্রতিদিন কী পরিমাণ চুল পড়া স্বাভাবিক
প্রতিদিন কী পরিমাণ চুল পড়া স্বাভাবিক তা সম্পর্কে জানা দরকার। নাহলে আমাদের
চুল অতিরিক্ত পড়ছে কিনা তা সনাক্ত করা যাবে না। বৈজ্ঞানিক গবেষণা অনুযায়ী
মানুষের মাথার চুলের আয়ু ৮-১০ বছর। এবং মানুষের মাথায় গড়ে ৯-১০ হাজার চুল থাকে।
যেখান থেকে দৈনিক ১০০-১৩০ টা চুল পড়া বা উঠা স্বাভাবিক। যদি আপনার
চুল দৈনিক ১০০ থেকে ১৩০ এর মধ্যে উঠে থাকে তাহলে দুশ্চিন্তার কারণ নেই।
কেননা এটি খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু এর থেকে বেশি পরিমাণে চুল উঠলে তা অবশ্যই
উদ্বেগের কারণ। এই অতিরিক্ত চুল উঠা বা হেয়ার ফল কিভাবে বুঝবেন?? আপনি যদি লক্ষ করেন যে
প্রতিদিনের তুলনায় হঠাৎ করে অত্যাধিক পরিমাণে আপনার বিছানায়, বালিশে,
বাথরুমে বা ঘরের মেঝায়, চিরুনীতে বা গামছায় চুল লেগে থাকছে তাহলে বুঝতে হবে আপনার
অতিরিক্ত হেয়ার ফল হচ্ছে।
আরো পড়ুনঃ চুলে আমলকীর ব্যবহার
কিশোর বয়সে অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণ
কিশোর বয়সে অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণ রয়েছে বলে গবেষনায় জানা গেছে। যেহেতু এই সময়
মানব দেহ এক বিশেষ ধরনের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে পার হয় তাই এর প্রভাব আমাদের চুলের
উপরেও পড়ে। কাজেই এসময় সঠিক পরিচর্যার অভাবে ছেলেমেয়েরা অতিরিক্ত হেয়ার ফলের
শিকার হয়। এছাড়াও এই বয়সে অনেকেই খাওয়া দাওয়ায় বেশ অবহেলা করে থাকে। অনেকেই ডায়েট
কন্ট্রোল করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমান খাবার খায় না ফলে চুলে পুষ্টির অভাব সৃষ্টি
হয়।
এতে একসময় অতিরিক্ত চুল উঠা শুরু করে। এছাড়াও এই বয়সে ছেলেমেয়েদের নানান বিষয়ে
হতাশা বা দুশিন্তায় ভুগতে দেখা যায়। যা থেকে অনিয়মিত খাদ্যভাস শুরু হওয়ার
পাশাপাশি অনিয়মিত ঘুমের সৃষ্টি হয়। আর এগুলো চুল উঠার অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে
বিবেচিত। আবার বিভিন্ন হরমোন জনিত পরিবর্তনের কারণেও অতিরিক্ত হেয়ার ফল হয়ে
থাকে।
বিভিন্ন কারনে আগের সুন্দর চুল পরিবর্তন হওয়াটা খবই মন খারাপের বা কষ্টের বিষয়।
কিন্তু এই সময় চুল পড়া বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে মনোযোগ না দিয়ে অনেকে মন
খারাপ করে দেখা যায় আরো বেশি দুশ্চিন্তা করে। এতে করে চুল পড়ার পরিমাণ আরো বেড়ে
যায়। কিন্তু তা না করে এসময় নিজেদের লাইফ স্টাইলের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া দরকার।
পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম ও সুষম খাদ্য গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
বর্ষায় অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণ ও প্রতিরোধ
বর্ষায় অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণ ও প্রতিরোধ সম্পর্কে আমরা অনেকেই অবগত না।
কিন্তু সারাবছরের তুলনায় দেখা যায় বর্ষাকালে আমাদের চুল পড়ার পরিমাণ বেশি থাকে।
এর কারণ বর্ষার সময় আবহাওয়া এমনিতেই অধিক পরিমানে আদ্র হয়ে থাকে। আর এই আদ্রতা
বেশি হওয়ার কারণে আমাদের মাথায় খুব সহজে ছত্রাকের জন্ম হতে পারে। সেখান থেকে
অনেক সময় প্রচুর খুসকিও হতে পারে যা আমাদের চুলের ড্যামেজ ঘটিয়ে প্রোটিন কমিয়ে
দেয়।
বিভিন্ন ধরনের ছত্রাক বা চুলকানি, ভেজা বা স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া ইত্যাদি নানান
কারনে এই সময় আমাদের চুলের গোড়া নরম থাকে যার একটুতেই চুল হাতে উঠে আসে। আবার
বর্ষায় নানা ধরণের তেলের খাবার অর্থাৎ ভাঁজাপোড়া জাতীয় খাবারের প্রতি আলাদা একটা
ঝোঁক থাকে। এধরণের খাবার অতিরিক্ত খাওয়ার কারণেও চুল ও ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা
দেখা যায়। এজন্য এগুলো খাবার গ্রহণে বিশেষ করে বর্ষার মৌসুমে সতর্ক থাকা
উচিত।
বর্ষায় চুল পড়া বন্ধ করার জন্য অবশ্যই চুল ভালো ভাবে পরিষ্কার করে যত দ্রুত
শুকিয়ে নেওয়া উচিত। চুলের যত্নে সঠিক খাদ্যাভাস নির্বাচন করে সেটি মেনে চলতে হবে।
বৃষ্টির সময় বাইরে গেলে অবশ্যই ছাতা বা স্কার্ফ ব্যবহার করে চুলকে বৃষ্টির পানি
থেকে রক্ষা করতে হবে। ঘরোয়া উপায়ে তৈরি তেল বা নারিকেল তেল হালকা গরম করে চুলে
দেওয়া দরকার যাতে চুলের পুষ্টি বৃদ্ধি পায়।
শীতকালে চুল পড়া বন্ধ করার উপায় - শীতে চুলের যত্নে কী করবেন
শীতকালে চুল পড়া বন্ধ করার উপায় বা শীতে চুলের যত্নে কী করবেন তা আমাদের
চিন্তার শেষ নেই। কেননা বর্ষাকালেই শুধু চুল পড়া বৃদ্ধি পায় না বরং শীতকালেও
আমাদের চুল অনেক শুষ্ক হয়ে ঝোড়ে যায়। শীতের একদম শুরু থেকেই দেখা যায় চুল
বিভিন্ন ভাবে ড্যামেজ হতে শুরু করে। যত্ন না নেওয়ায় শীতের পুরোটা সময় চুলের
করুণ অবস্থা আমাদেরকে মন খারাপ করে দেয়।
এজন্য শীতে চুলের বিশেষ যত্ন প্রয়োজন। এসময় আবহাওয়া রুক্ষ - শুষ্ক হওয়ায়
আমাদের চুল ও রুক্ষ- শুষ্ক হয়ে থাকে। আবার খুসকিও বেড়ে যায়। এগুলো দূর করার
জন্য চুলে সপ্তাহে অন্তত্য দুইবার তেল মালিশ করা উচিত। এতে চুলের শুষ্ক ভাব দূর
করে পানির চাহিদা মেটানো সম্ভব। চুলে যেনো কোনো ছত্রাক বা খুসকি জন্মাতে না
পারে তাই নিয়মিত চুল ভালো ভাবে পরিষ্কার করতে হবে।
শীতকালীন শাকসবজি ও ফলমূল চুলের জন্য অনেক গুরুত্বপুর্ণ। এগুলো শরীরের বিভিন্ন
চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি চুলের যাবতীয় পুষ্টির যোগান দিয়ে থাকে। তাই প্রতিদিন
কিছু পরিমাণ শাক সবজি ও ফল খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে। এছাড়াও অতিরিক্ত হেয়ার কেয়ার
প্রোডাক্ট চুলে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা ভালো।
আরো পড়ুনঃ চুলে শ্যাম্পু ব্যবহারের সঠিক নিয়ম
চুল পড়া রোধে যেসকল ঘরোয়া পদ্ধতি উপযোগী
চুল পড়া রোধে যেসকল ঘরোয়া পদ্ধতি উপযোগী তা আমরা অনেকেই জানি, ব্যবহার করে থাকি।
আবার অনেকেই আমরা জানিনা। ঘরোয়া পদ্ধতি বলতে মূলত ভেষজ উপাদান দিয়ে ঘরে তৈরি
জিনিসকে বুঝায় যাতে কোনো প্রকার ক্যামিক্যাল বা ক্ষতিকর বস্তুর উপস্থিতি থাকে না।
আমাদের নানি,দাদী এগুলো ব্যবহারে বা তৈরিতে বেশ দক্ষ। তাদের মাধ্যম দিয়েই আমাদের
কাছে এগুলোর আগমন।
এলোভেরাঃ চুলের যত্নে এলোভেরা একটি অতি পরিচিত উপাদান। অন্যান্য যেকোনো
উপাদানের থেকে এলোভেরার ব্যবহার অনেক সহজ। এলোভেরা মাথা ঠান্ডা রাখার জন্যও অনেকে
ব্যবহার করে থাকে। এটি চুলের গোড়া মজবুত করে চুল উঠা কমাতে সাহায্য করে।
মেথিঃ মেথি বা মেথির তেল ও চুলের জন্য অত্যান্ত কার্যকরি উপাদান। ৬-৭
ঘন্টা মেথি ভিজিয়ে রেখে তা পিষে মাথায় লাগালে চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং চুল
মসৃণ হয়। মেথির সাথে চাইলে পাকা কলা বা মধু ব্যবহার করা যেতে পারে। সপ্তাহে
দুইবার বা মাসে ৪/৫ বার এই প্যাক ব্যবহার করতে পারলে চুল পড়া বন্ধের পাশাপাশি
নতুন চুল গজাবে।
পেঁয়াজ বা পেঁয়াজের রসঃ পেঁয়াজ আমাদের চুল পড়া রোধে বিশেষ কার্যকরি।
সপ্তাহে একবার কিংবা দুইবার পেঁয়াজ পিষে কিংবা পেঁয়াজের রস মাথায় ১৫-২০ মিনিত
রাখা উচিত। এতে অতিরিক্ত চুল পড়া থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। এটি মাথার রক্ত
সঞ্চালনে সাহায্য করে থাকে।
ডিমঃ ডিম একটি প্রোটিনযুক্ত খাবার। ডিমে থাকা ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, ফসফরাস,
আয়রন, থায়ামিন, ভিটামিন ডি ই কে ইত্যাদি আমাদের চুলের জন্য বেশ উপকারী। এছাড়াও
ডিমের মাস্ক বা সাদা অংশ মাথায় ব্যবহারে চুলের প্রোটিন বৃদ্ধি পায়। এটি চুলকে
মসৃণ ও উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে থাকে।
চুলের যত্নে প্রয়োজনীয় আরো কিছু দিক
চুলের যত্নে প্রয়োজনীয় আরো কিছু দিক খেয়াল রাখা জরুরী। কেননা সকল আমদের দৈনন্দিনের প্রায় সকল কাজের সাথেই আমাদের সুস্বাস্থের বিষয় গুলো জড়িয়ে থাকে। আমরা কীভাবে কতটুকু নিজেদের যত্ন নিতে পারছি তা বিশেষ গুরুত্বের সাথে আমাদেরকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
সুষম খাদ্যঃ চুলের সঠিক ভাবে বেঁড়ে সর্বপ্রথম আমাদেরকে সুষম খাদ্য নিশ্চিত
করা প্রয়োজন। কেননা খাদ্যে ঘাটতি থাকলে তা চুলের সঠিক ভাবে বেঁড়ে উঠতে বাধা
সৃষ্টি করে। চুলে নানান পুষ্টিহীনতা দেখা দেয়। এজন্য এসকল ঘাটতি দূর করার জন্য
নিয়মিত প্রোটিন, ভিটামিন যুক্ত খাবার গ্রহন করতে হবে।
ক্ষতিকারক দ্রব্য পরিহারঃ অনেকেই আমরা চুলের সৌন্দর্য বাড়াতে বিভিন্ন
রকম কালার ও ব্লিচ ব্যবহার করে থাকি। যেগুলো সাময়িক ভাবে আমাদের চুলকে সুন্দর
করলেও সেগুলোর মধ্যে থাকা ক্ষতিকারক উপাদান আমাদের চুলের দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি সাধনে
সক্ষম। তাই এগুলো পারতপক্ষে ব্যবহার করা থেকে দূরে থাকা লাগবে।
চুল বাঁধাঃ চুল বাঁধার মধ্যে ভুল থাকার কারণেও আমাদের চুল অনেক সময়
ড্যামেজ হয়ে যায়। অতিরিক্ত জোরে বা কোষে শক্ত করে চুল রাখলে চুলের গোড়া দুর্বল
হয়ে পড়ে। আবার চুল আঁচড়ানোর সময় কিংবা চুলে তেল দেওয়ার সময় ভুল নিয়ম অনুসরণ করাও
চুল পড়ার অন্যতম কারণ। এজন্য হালকা হাতে ও সঠিক নিয়মে চুল বাঁধা, চুল আঁচড়ানো ও
চুলে তেল দিতে হবে।
চুল পড়ার জন্য ডাক্তার দেখাবেন কিনা
চুল পড়ার জন্য ডাক্তার দেখাবেন কিনা বুঝবেন কিভাবে?? অনেক সময় আমাদের চুল যত্ন
নেওয়ার পরেও অনেক বেশি ঝোরে যায়। অনেক রকম ঘরোয়া রেমেডি ব্যবহারেও চুল পড়া রোধ
করা যায় না। কারন অনেক সময় বিভিন্ন জিন জনিত কারনে চুল পড়তে পারে। আবার শারীরিক
বিশেষ কোনো কারন থাকতে পারে যা অতিরিক্ত চুল পড়ার জন্য দায়ী হয়।
এগুলো আমরা সহজে ধরতে পারিনা বলে সঠিক উপায় অবলম্বন করা সম্ভব
হয়না। তখন অবশ্যই একজন ভালো চিকিৎসককে দেখানো প্রয়োজন। বিভিন্ন রক্ত পরীক্ষা বা
টেস্টের মাধ্যমে চুল পড়ার আসল কারণ সনাক্ত করা দরকার। এবং সেই অনুযায়ী ওষুধ বা
পণ্য ব্যবহার আপনার চুলের জন্য সহায়ক ভুমিকা রাখতে সক্ষম।
আরো পড়ুনঃ মাথার এলার্জি দূর করার উপায়
শেষ কথা - চুল পড়া বন্ধ করার উপায়
চুল পড়া বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে আমরা অনেক তথ্য উপরে জানতে পেরেছি। পাশাপাশি
সেগুলো থেকে প্রতিকারের নিয়মও আমাদের জানা হয়েছে। যেহেতু সকলের জন্য সকল
রেমেডি বা নিয়ম সমান ভাবে প্রযোজ্য নয় তাই প্রথমে নিজের চুলের ধরন বুঝে সেই
অনুযায়ী উপরের নির্দেশনা গুলো মেনে চলার চেষ্টা করা জরুরি। আশা করি আজকের
আর্টিকেলটি আপনাদের উপরকারে এসেছে। ধন্যবাদ!
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url