তিসি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
তিসি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা নিয়ে আজকে আমরা হাজির হয়েছি আপনাদের সামনে। ছোটো এই
প্রাকৃতিক বীজের যে হরেক রকম ব্যবহার ও উপকারিতা আছে তা নিয়েই আমাদের আজকের
আয়োজন।
আমাদের অনেকের কাছেই তিসি খুব একটা পরিচিত না। কিন্তু বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে
অনেকেই এটি সম্পর্কে জেনেছে। কেননা দেশে বিদেশের অনেক জায়গায় তিসি এখন বহুল
ব্যবহৃত।
পেজ সুচিপত্রঃ তিসি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
- তিসি বীজ খাওয়ার নিয়ম
- ওজন কমাতে তিসি খাওয়ার নিয়ম
- তিসি খাওয়ার ফলে কী কী সুবিধা পাওয়া যায়
- চুলের যত্নে তিসির বীজের উপকারিতা
- তিসির তেল বানানোর নিয়ম
- ত্বকের যত্নে তিসি ব্যবহারের নিয়ম ও উপকারিতা
- গর্ভাবস্থায় তিসি খাওয়া নিরাপদ কিনা
- তিসি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা নিয়ে কিছু প্রশ্ন
- প্রতিদিন কতটুকু তিসি খাওয়া উচিত?
- তিসি খেলে পেটের কী কী সমস্যা হয়??
- তিসি কাদের খাওয়া উচিত নয়??
- তিসি কোথায় পাওয়া যায় এবং দাম কত??
- শেষ কথা- তিসি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
তিসি বীজ খাওয়ার নিয়ম
তিসি বীজ খাওয়ার নিয়ম নিয়ে আমাদের মধ্যে অনেক প্রশ্ন দেখা দেয়। অনেকেই সঠিক
উপায়ে তিসি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে নানান মত প্রকাশ করে থাকেন।
বিভিন্ন গবেষণা অনুযায়ী তিসি অত্যন্ত প্রোটিন সমৃধ আঁশজাতীয় বীজ। এটিকে
ইংরেজিতে ফ্লেক্স সীড বলা হয়। এতে আছে থায়ামিন, ফেরুলিক অ্যাসিড, ফসফরাস,
ম্যাগ্নেসিয়াম, ফাইবার, লিগানান ও অতি প্রয়োজনীয় ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড।
এরকম প্রোটিন সমৃধ উপাদান দিয়ে গঠিত হওয়ায় অনেকে এটিকে সুপার ফুড হিসেবেও
চিনে থাকে। জানা গেছে প্রতি ১০০ গ্রাম তিসিতে প্রায় ১৮ গ্রাম প্রোটিন থাকে।
তাই প্রতিদিন কেউ যদি তিন থেকে চার চা- চামচ তিসি দানা খেয়ে থাকে তাহলে তার
দৈনিক আঁশ জাতীয় খাদ্য চাহিদার প্রায় ২৭% পূরণ হয়ে যায়।
তিসি বীজ দেখতে ছোটো ছোটো বাদামি বা হলুদ রঙের হয়ে থাকে। এটি বাজার থেকে কিনে
গরম আঁচে কোনো পাত্রে কিছু সময় ধরে টেলে নেওয়া উচিত। এরপর চাইলে এটিকে গুঁড়ো
করে অনেকদিন সংরক্ষণ করা যাবে। প্রতিদিন সকালে গুঁড়ো করা তিসি একগ্লাস পানি
বা দুধের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। আবার চাইলে বিভিন্ন তরকারি কিংবা সালাদে
তিসির গুঁড়ো মাখিয়ে খাওয়া যায়।
ওজন কমাতে তিসি খাওয়ার নিয়ম
ওজন কমাতে তিসি খাওয়ার নিয়ম কী বা কীভাবে তিসি খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা
সম্ভব চলুন তা জেনে নি। আমরা আগেই তিসিতে থাকা প্রোটিন উপাদানগুলো সম্পর্কে
জেনেছি। এই প্রোটিন উপাদান গুলোর মধ্যে থাকা ফাইবার আমাদের ওজন কমাতে অনেক
উপকারি। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার আমাদের দেহে অতিরিক্ত খাবারের চাহিদা কমিয়ে
রাখে।
অর্থাৎ বার বার ক্ষুধা লাগা থেকে শুরু করে যেকোনো খাবার দেখে তা খাওয়ার
প্রবনতা কমিয়ে শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে এই তিসি বা ফাইবার সমৃদ্ধ আঁশ
জাতীয় খাবার। তাই তিসির দানা বা গুঁড়ো পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন। চাইলে সাথে
কিছুটা লেবুর রসও মিশিয়ে নেওয়া যায়। এটি আপনার পেট দীর্ঘ সময় ধরে ভরিয়ে রাখতে
সাহায্য করবে।
এভাবে নিয়মিত তিসি খেলে দ্রুতই ফল পাওয়া সম্ভব। কিন্তু ওজন কমাতে শুধু এই
তিসির উপর নির্ভর করলেই চলবে না। এটির পাশাপাশি প্রতিদিন কিছু শারীরিক
ব্যায়াম করতে হবে। যেমন সকালে হাটাহাটি করা অনেক সহজ ও প্রায় সকলের জন্য
উপযোগী একটা ব্যায়াম। আরো ভালো ফলের জন্য এগুলোর পাশাপাশি খাদ্যভাসেও
নিয়ন্ত্রণ রাখা জরুরি।
তিসি খাওয়ার ফলে কী কী সুবিধা পাওয়া যায়
তিসি খাওয়ার ফলে কী কী সুবিধা পাওয়া যায় তা আমাদের অনেকের কাছেই অজানা।
বিভিন্ন মানুষের কাছে বিশেষ করে বিদেশে তিসির বহুমুখী গুণের কারণে এটির
ব্যবহার ব্যাপক। ছোটো এই দানা মানব দেহের জন্য অনেক কার্যকরি একটি উপাদান।
শরীরের অভ্যন্তরীণ উপকারের পাশাপাশি বাহ্যিক উপকারেও তিসি কার্যকর।
ডায়বেটিক নিয়ন্ত্রণঃ ডায়বেটিক নিয়ন্ত্রণে তিসি কাজ করে থাকে। এটি
ডায়বেটিক রোগীদের অন্ত্রের গতি বৃদ্ধি করে যার ফলে হজমের গোন্ডগোল দূর হয়,
বিপাকীয় উন্নতি হয়। এছাড়াও গবেষণায় দেখা গেছে তিসি রক্তের সুগার কমিয়ে থাকে
যা প্রায় ৮-১০%। টাইপ-২ ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য তিসি বেশি কার্যকরি।
উচ্চ রক্তচাপ নিতন্ত্রণঃ উচ্চ রক্তচাপ এখন খুবই পরিচিত একটি সমস্যা।
আমাদের আশেপাশে অনেক ব্যক্তি এই রোগে আক্তান্ত হচ্ছে। এই রোগ নিয়ন্ত্রণে
তিসির বীজ উপকারী। তিসিতে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মানব দেহের এলডিএল বা
খারাপ কোলেস্টরেল কমিয়ে আনে। এটা হার্টের সুস্থতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে।
ক্যান্সারঃ তিসিতে থাকা লিগানান ক্যান্সার প্রতিরোধে সক্ষম। তিসির
এ্যান্টিওক্সিডেন্ট দেহের টিউমার কোষ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও মেয়েদের স্তন
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে তিসি কার্যকরি। গবেষণায় আরো জানা গেছে তিসি ত্বকের
ক্যান্সার ও পায়ু ক্যান্সারে প্রতিরোধেও কাজ করে থাকে।
আরো পড়ুনঃ ডিটক্স ওয়াটার এর উপকারিতা
চুলের যত্নে তিসির বীজের উপকারিতা
চুলের যত্নে তিসির বীজের উপকারিতা অনেক জনের কাছে শুনা যায়। এতে থাকা
ফাইবার, ফলিক অ্যাসিড ও অ্যান্টিওক্সিডেন্ট চুলের জন্য অনেক উপকারী।
এগুলো চুলকে মজবুদ ও সুস্থ রাখতে পারে। চুলের ফলিকল পুষ্ট হয়ে চুল মসৃণ
হয়। এছাড়াও তিসির মাস্ক চুলের ফাটা কমিয়ে চুলকে লম্বা করতে সাহায্য
করে।
চুলে তিসি অনেকে অনেক ভাবে ব্যবহার করে থাকে। বিশেষ করে তিসির মাস্ক চুলের জন্য
বেশি ব্যবহৃত ও উপকারী বলে জানা গেছে। তিসির মাস্ক তৈরির জন্য প্রথমে তিসিকে
চেলে পরিষ্কার করে নিতে হবে। তারপর হালকা তাপে তিসির জেল বের না হওয়া পর্যন্ত
গরম পানিতে এটিকে নাড়াচাড়া করতে হবে। তিসির ঘনত্ব গাড় হয়ে এলে এটি নামিয়ে নিতে
হবে।
এরপর তিসির দানা থেকে জেল আলাদা করার জন্য এক টুকরা পাতলা কাপড় নিয়ে তার
সাহায্যে জেলটি আলাদা করে নিতে হবে। এর কিছুক্ষণ পরে জেল ঠান্ডা হয়ে আসলে তার
সাথে এ্যলোভেরার জেল মিশিয়ে নিলে ভালো রেজাল্ট পাওয়া যাবে। কেননা এ্যলোভেরায়
থাকা ভিটামিন এ, ই, কে চুল মাথার ত্বককে আদ্র রাখতে সাহায্য করে।
এর সাথে চাইলে কিছুটা নারিকেল তেল মিশিয়ে নেওয়া যায়। তিসি, এ্যালোভেরা ও
নারিকেল তেলের এই মাস্কটি নিয়মিত মাখতে পারলে চুল মসৃণ ও উজ্জ্বল হয়। সপ্তাহে
একবার করে ২০-২৫ মিনিটের জন্য মাথায় রেখে শাম্পু করে করে নিতে হবে। এভাবে এটি
ব্যবহার করতে পারলেই চুলের রুক্ষতা বা খসখসে ভাব দূর হয়ে চুল বৃদ্ধি সম্ভব। এটি
চুলের প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে থাকে।
তিসির তেল বানানোর নিয়ম
তিসির তেল বানানোর নিয়ম সম্পর্কে চলুল জেনে নেওয়া যাক। কেননা তিসি থেকে তেল
বানিয়েও তিসির উপকার নেওয়া যায়। তিসির তেল মাথায় মাখার পাশাপাশি এটি খাওয়াও
যাবে। ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ তিসির তেল আমাদের দেহের প্রদাহ কমিয়ে
রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া তিসির মাস্কের পাশাপাশি তিসির তেল চুলে ব্যবহার
করেও অনেক ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
তিসি দিয়ে যেকোনো কিছু বানানোর আগে তিসিকে ভালো ভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
কেননা এতে অনেক সময় নানান ধরণের ময়লা থাকে যেগুলো সহজে বুঝা যায় না। পরিষ্কার
তিসি গুঁড়ো করে নিতে হবে। চাইলে খুব বেশি মিহি না করে কিছুটা ছাবা ছাবা
রাখলেও সমস্যা নেই। এরপর একটি পাত্রে অলিভ অয়েল নিয়ে সেখানে আপনার প্রয়োজন
মাফিক তিসির গুঁড়ো নিন।
অলিভ অয়েল না থাকলে সেক্ষেত্রে নারিকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু অলিভ
অয়েল নিতে পারলে বেশি ভালো হয়। এরপর হালকা মিডিয়াম আঁচে তেল ও তিসির মিস্রণটি
নাড়তে থাকুন। মিস্রণটি ফুটতে শুরু করলে আঁচ বন্ধ করে দিন। এরপর ছাঁকনি দিয়ে
ছেঁকে তেল থেকে গুঁড়ো আলাদা করে নিলেই তিসির তেল ব্যবহারের উপযোগী হয়ে যাবে।
এই তেল কিছুটা ঘন হবে।
ত্বকের যত্নে তিসি ব্যবহারের নিয়ম ও উপকারিতা
ত্বকের যত্নে তিসি ব্যবহারের নিয়ম ও উপকারিতা নিয়ে এখন নিশ্চয় অনেকের মনে
প্রশ্ন জাগছে। এতক্ষণ তিসি খাওয়ার এবং চুলে তিসি ব্যবহারের বিভিন্ন নিয়ম
ও উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছি। এখন তাইলে ত্বকের জন্য তিসি কীভাবে ব্যবহার
করা যায় তা জানা জরুরি। কেননা ত্বক উজ্জ্বল করতেও তিসি গুরুত্বপূর্ণ
ভুমিকা রাখে।
আমাদের মুখের কালো দাগ বা ছোপ ছোপ দাগ দূর করতে তিসি সাহায্য করে থাকে।
এছাড়া মুখের মেছতা দূর করতেও তিসি কার্যকরী। মুখে ব্যবহারের জন্য তিসির জেল
কিংবা তিসির তেল উভয়ই ব্যবহার করতে পারেন। তিসির জেল বানানোর নিয়ম আমরা
আগেই জেনেছি। সেই অনুযায়ী জেল বানিয়ে তার সাথে ভিটামিন ই ক্যাপ্সুল,
সামান্য হলুদ মিশিয়ে নিন।
কেউ চাইলে মধুও ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো দিয়ে একটি ফেসপ্যাক বানিয়ে মুখ
পরিষ্কার করে মুখে লাগিয়ে তা কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করুন। সপ্তাহে দুই থেকে
তিনবার এই প্যাক ব্যবহার করতে পারলে মুখের বিভিন্ন কালো দাগ দূর হবে।
পাশাপাশি ত্বক উজ্জ্বল হয়ে বলিরেখা হ্রাস পাবে। কিন্তু যেকোনো ফেসপ্যাক
মুখে ব্যবহারের আগে একটু নিয়ে পরীক্ষা করে নেওয়া ভালো।
গর্ভাবস্থায় তিসি খাওয়া নিরাপদ কিনা
গর্ভাবস্থায় তিসি খাওয়া নিরাপদ কিনা? অনেকেই তা আমরা জানিনা। যেহেতু
তিসিতে অনেক ধরণের পুষ্টি উপাদান থাকে তাই অনেকেই মনে করেন গর্ভবতি
মায়ের জন্য তিসি খাওয়া উপকারী। কিন্তু এই সময় তিসি খাওয়া খুব বেশি
নিরাপদ না। গর্ভাবস্তায় একজন মা ও তার সন্তান অত্যান্ত নাজুক অবস্থার
মধ্য দিয়ে পার হয়।
কাজেই এই সময় অনেক রকম পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার মা ও সন্তানের বিকাশের জন্য
খুবই জরুরী। কিন্ত সেই বিবেচনায় অতিরিক্ত পরিমাণে তিসি সেবন করলে তা
হরমোনের উপর খারাপ প্রভাব ফেলার আশঙ্কা তৈরি করে। যা সন্তানের বিকাশে
বাধা সৃষ্টি করতে পারে বলে অনেক চিকিৎসক এই সময় তিসি খাওয়া থেকে বিরত
থাকার পরামর্শ দেন।
কিন্তু এইসময় পেটে অনেক সময় গ্যাস বা হজমের সমস্যা দেখা দেয়। সেই সমস্যা
দূর করতে চাইলে বেশি না খেয়ে অল্প পরিমণে তিসির গুঁড়ো খাওয়া যাবে। কিন্তু
তিসির তেল না খাওয়ায় ভালো। এছাড়াও তিসি ফাইবারে পরিপূর্ণ হওয়ায় তা
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও সাহায্য করে। তাই এসব দিক বিবেচনায় গর্ভাবস্তায়
নিয়ম মেনে অল্প পরিমাণ তিসি খাওয়া যাবে।
তিসি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা নিয়ে কিছু প্রশ্ন
তিসি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা নিয়ে কিছু প্রশ্ন প্রায়ই আমাদের মধ্যে
থেকে থাকে। কেননা তিসির অনেক গুলো উপকারী দিক যেমন আছে তেমনি সঠিক
পদ্ধতি না মেনে তিসি ব্যবহার করার অপকার ও আছে। আর এজন্যই এটিকে
কেন্দ্র করে আমাদের মনে নানা রকম প্রশ্ন সৃষ্টি হয়। চলুন তাইলে সেই রকম
কিছু প্রশ্নের উত্তর বের করা যাক।
১/ প্রতিদিন কতটুকু তিসি খাওয়া উচিত?
উঃ সাধারণত একজন মানুষ প্রতিদিন প্রায় ৩০ গ্রামের মতো তিসি বা ফ্ল্যাক্স
সিড খেতে পারে। কিন্তু অনেক সময় মানুষের কিছু কিছু বৈশিষ্ট ভেবে এর
তারতম্য হতে পারে অর্থাৎ প্রয়োজন বুঝে কারো ৩০ গ্রামের কম তিসি খাওয়া
লাগতে পারে।
২/ তিসি খেলে পেটের কী কী সমস্যা হয়??
উঃ তিসিতে থাকা প্রোটিন সাধারণত পেটের সমস্যা দূর করতে এবং হজম শক্তি
বৃদ্ধি করতে সক্ষম। কিন্তু অনেক সময় প্রথম প্রথম তিসি খাওয়া শুরু করলে
পেট মোচড়ানোর মতো সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও বমি ভাব, গ্যাসের সমস্যা দেখা
দিতে পারে। তাই প্রথমেই খুব বেশি করে না খেয়ে অল্প অল্প করে খাওয়া
শুরু করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে পারে যেসকল খাবার
৩/ তিসি কাদের খাওয়া উচিত নয়??
উঃ যে সকল মা গর্ভবতী বা সন্তাকে বুকের দুধ খাওয়ান তাদের ক্ষেত্রে তিসি
খাওয়ার পুর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। পারতপক্ষে এই সময়
তিসির বীজ বা তেল খাওয়া থেকে বিরত থাকায় উত্তম। এছাড়াও প্রোটেস্ট
ক্যান্সারে আক্রান্ত পুরুষদের তিসি খাওয়ার জন্যও ডাক্তারের পরামর্শ নিতে
হবে।
৪/ তিসি কোথায় পাওয়া যায় এবং দাম কত??
উঃ পূর্বের তুলনায় বর্তমানে তিসি খুব কম চোখে দেখা যায়। যার কারনে অনেকেই
এর প্রাপ্তিস্থান সম্পর্কে অবগত নয়। গ্রামে- গঞ্জে তাও তিসি দেখা যায়।
কিন্ত শহরে সেই তুলনায় দেখা যায় না। শহরে পেতে হলে বিভিন্ন মুদি দোকানে
খোঁজ করা লাগবে। অনেক সময় বড় বড় মুদির দোকান গুলো এগুলো বিক্রি করে থাকে।
তিসি সাধারণত ১০০ গ্রাম ২০-৩০ টাকার মধ্যেই পাওয়া যায়। কিন্তু জায়গা ভেদে
কিংবা অনলাইনে এই দাম ভিন্ন হতে পারে।
শেষ কথা- তিসি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
শেষ কথা- তিসি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা নিয়ে আমরা উপরে অনেক জানা অজানা
তথ্য আপনাদের সামনে সহজে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। বিভিন্ন উপকারের
পাশাপাশি তিসির কিছু অপকার দিক গুলোও উপস্থাপন করা হয়েছে যেন আপনারা সকল
বিষয়ে ধারণা পান। আশা করি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।
ধন্যবাদ!
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url