ডিটক্স ওয়াটার এর উপকারিতা
ডিটক্স ওয়াটার এর উপকারিতা ও এটি বানানোর বিভিন্ন নিয়ম সম্পর্কে আজকে আমরা
আমাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানবো। কেননা বর্তমানে সুস্বাস্থের কথা বিবেচনায়
রেখে ডিটক্স ওয়াটার একটি কার্যকরী পানীয়।
সম্প্রতি স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের কাছে এই ডিটক্স ওয়াটার এতটা জনপ্রিয় হওয়ার
কারণ এটি বিভিন্ন পুষ্টি গুণাগুণে সমৃদ্ধ। সহজ কিছু উপাদান দিয়ে কিভাবে এই
ডিটক্স ওয়াটার বানানো যায় তা সম্পর্কেও আজকে আমরা জানবো।
পেজ সুচিপত্রঃ ডিটক্স ওয়াটার এর উপকারিতা
- ডিটক্স ওয়াটার কী বা ডিটক্স ওয়াটার কী কাজে লাগে
- ওজন কমাতে ডিটক্স ওয়াটার
- উজ্জ্বল ত্বকের জন্য ডিটক্স ওয়াটার
- ডিটক্স ওয়াটার বানানোর নিয়ম
- ডিটক্স ওয়াটার দেহের কী কী উপকার করে
- ডিটক্স ওয়াটারের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা ডিটক্স ওয়াটারের অপকারিতা
- ডিটক্স ওয়াটার সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন
- শেষ কথা-ডিটক্স ওয়াটার এর উপকারিতা
ডিটক্স ওয়াটার কী বা ডিটক্স ওয়াটার কী কাজে লাগে
ডিটক্স ওয়াটার কী বা ডিটক্স ওয়াটার কী কাজে লাগে সেই
সম্পর্কে প্রথমেই আমাদের জেনে নেওয়া জরুরি। কেননা এটি সম্পর্কে
আমাদের মধ্যে নানান ধারণা আছে। আবার আমাদের আশেপাশে এমন কিছু মানুষ
আছেন যাদের কাছে এই বিষয়টি সম্পূর্ণ নতুন বা অজানা হতে পারে। ডিটক্স
ওয়াটার হলো বিভিন্ন ফল বা সবজির নির্যাস মিশ্রিত পানীয়। একাধিক
ফলমূল কিংবা সবজি ও বিভিন্ন ভেষজ উপাদান একসাথে মিশিয়ে তৈরি পানীয় ডিটক্স
ওয়াটার হিসেবে পরিচিত।
বিভিন্ন প্রকার ফল যেমন আপেল, আনারস, কমলা, মালটা, আঙ্গুর, গাজর, টমেটো
ইত্যাদি ব্যবহার করে ডিটক্স ওয়াটার বানানো হয়। আবার ধনাপাতা, পুদিনা পাতা,
শসা, লেবু ইত্যাদি ব্যবহারেও এটি তৈরি করা হয়। আমাদের শরীরে পানির চাহিদা
মিটিয়ে তার সাথে আরো কিছু উপকারী কাজ করে থাকে এই শক্তিশালী পানীয় বা ডিটক্স
ওয়াটার। ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণের দারুণ উৎস এটি।
"ডিটক্স" শব্দটি এসেছে "ডিটক্সিফিকেশন" থেকে। যার অর্থ শরীর থেকে খারাপ বা
দূষিত পদার্থ বের করার প্রক্রিয়া। অর্থাৎ বিভিন্ন উপায়ে আমাদের শরীরে প্রবেশ
করা যে খারাপ উপাদান বা টক্সিন যা মূলত দেহের জন্য ক্ষতিকর তা ডিটক্সিফাই বা
বের করার কাজ ডিটক্স ওয়াটার করে থাকে। এটিকে দেহের মধ্যকার ক্লিনজিং প্রোগ্রামও
বলা হয়। এটি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও শক্তি বৃদ্ধি করতে সক্ষম।
ওজন কমাতে ডিটক্স ওয়াটার
ওজন কমাতে ডিটক্স ওয়াটার এর উপকারিতা অনেক। মূলত ওজন কমানোর কাজেই এটি বেশি
জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বিশেষ করে যারা জিম করেন বা বাসাতেই ব্যায়াম করে থাকেন তাদের
কাছে ডিটক্স ওয়াটার অনেক বেশি পছন্দনীয়। এটি আমাদের শরীরের ক্যালোরির পরিমাণ
সমান করে থাকে। পাশাপাশি মেটাবলিজম ও বৃদ্ধি করে থাকে এবং দেহের স্থুলতা কমায়।
বিভিন্ন প্রকার খাবার গ্রহণে বিশেষ করে গরমের সময় নানান সমস্যা বা বদহজম সৃষ্টি
হয় এবং দেহে পানির চাহিদাও বৃদ্ধি পায়। এসময় ডিটক্স ওয়াটার শরীরকে হাইড্রেড
রেখে শরীরে ভিটামিন, মিনারেল এর জোগান দেয়, মেটাবলিজমের পরিমাণ বাড়ায়। যার ফলে
শরীরের ক্ষতিকর পদার্থ বেড় হয়ে যায়। শরীরের বিপাক ক্রিয়াকে সঠিক রেখে মেদ দ্রুত
ঝড়ায়।
বিভিন্ন প্রকার ডিটক্স ওয়াটার এর মধ্যে ওজন কমানোর জন্য লেবু, আদা কিংবা মেথির
ডিটক্স ওয়াটার সবচেয়ে বেশি উপকারী। লেবু পাতলা করে কেটে কয়েক টুকরা পরিষ্কার
পানিতে কাচের জগে ভিজিয়ে রেখে দিন। সাথে কিছু পুদিনা পাতা কিংবা মধু দিয়ে নিতে
পারেন। কয়েক ঘন্টা ভিজিয়ে রাখার পর সারাদিনে কয়েকবার এই পানি পান করুন।
একই ভাবে আদার ডিটক্স পানি বা আদা চা বানিয়েও একই কাজ করা সম্ভব। কয়েক টুকরা
আদা হালকা গরম পানিতে ভিজিয়ে তাতে কিছু পরিমাণ লেবুর রস অ্যাড করে নিলেই আদার
ডিটক্স ওয়াটার রেডি। এছাড়াও মেথি ভিজিয়ে মেথির জল দিয়ে তৈরি ডিটক্স ওয়াটার
ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় তা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্তণে রেখে ওজন কমাতে সাহায্য
করে।
আরো পড়ুনঃ দ্রুত ওজন কমাতে উপকারী ৫ টি খাবারের তালিকা
উজ্জ্বল ত্বকের জন্য ডিটক্স ওয়াটার
উজ্জ্বল ত্বকের জন্য ডিটক্স ওয়াটার বেশ উপকারী। আমরা ত্বকের উপকারে সাধারণ পানি
পানের উপকারীতা কেমন তা সম্পর্কে অনেক আগে থেকেই জানি। পরিষ্কার নির্ভেজাল পানি
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি বিভিন্ন রকম ব্রণ বা একনীর সমস্যা
দূর করে থাকে। কিন্তু প্রতিদিন সঠিক পরিমাণে পানি পান করতে না পারা
ত্বকের ক্ষতি হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ।
প্রতিদিনের এই চাহিদা পূরণ করতে ডিটক্স ওয়াটার প্রয়োজনীয়
ভূমিকা রাখে। ডিটক্স ওয়াটারে থাকা বিভিন্ন উপাদান আমাদের
ত্বককে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে। ত্বককে ভিতর থেকে সুস্থ ও
উজ্জ্বল করে তোলে ডিটক্স ওয়াটার।ত্বকের ভিতরে নানা কারণে সৃষ্ট
হওয়া ক্ষতিকারক উপাদান যা ত্বকে নানা সমস্যা সৃষ্টি করে সেগুলো
ডিটক্সসিফাই করে ডিটক্স ওয়াটার।
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি আমাদের ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করতে সক্ষম। এটির
কারণে বিভিন্ন ধরনের ব্রণ, লালচে ভাব, র্যাশ, ডার্ক
স্পট ইত্যাদির মাত্রা বেড়ে যায়। এগুলো থেকে রেহাই পেতে প্রতিদিন
ডিটক্স ওয়াটার পান করা বেশ কার্যকরী। এটি আমাদের ত্বককে নমনীয় করে
ত্বকের অ্যান্টি এজিং হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও চেহারায় বয়সের ছাপ
এবং বলিরেখা দূর পড়ে থাকে করে।
ডিটক্স ওয়াটার বানানোর নিয়ম
ডিটক্স ওয়াটার বানানোর নিয়ম অনেক ধরণের হয়ে থাকে। ডিটক্স ওয়াটার এর
উপকারিতা অনুযায়ী একেক জন তার পছন্দ মতো এটি বানিয়ে থাকে। সাধারণত সাধারণ পানিতে
হাতের কাছে থাকা কিছু উপাদান দিয়েই এই পানীয় বানিয়ে নেওয়া যায়। ৮-১০ ঘন্টা
বিভিন্ন প্রকার ফল ভিজিয়ে রেখে সেগুলোর নির্যাস থেকেই এটি তৈরি
হয়। এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যেন অতিরিক্ত সময় ধরে ফল ভিজে থাকার ফলে
পচে না যায় বা ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি না হয়।
তরমুজ, আপেল, শসা পরিষ্কার করে টুকরো টুকরো করে কেটে পরিষ্কার
পানির বোতল বা কাচের জারে ৫-৮ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে দিলে তৈরি হবে
এক ধরনের ডিটক্স ওয়াটার। আবার কয়েক টুকরো আপেল পানিতে ভিজিয়ে তার
সাথে গোটা কয়েক টুকরো দারুচিনি ভিজিয়ে রাখলে তৈরি হয়ে যাবে আরো এক
প্রকার ডিটক্স ওয়াটার। লেবু, মধু ও পুদিনা পাতা দিয়েও ডিটক্স
ওয়াটার তৈরি করা হয়। এভাবেই বিভিন্ন প্রকার ফল মিশিয়ে
সহজেই এটি তৈরি করেন নিতে পারেন।
ডিটক্স ওয়াটার দেহের কী কী উপকার করে
ডিটক্স ওয়াটার দেহের কী কী উপকার করে তা বলে শেষ করা যাবে না। ইতিমধ্যে আমরা ডিটক্স ওয়াটারের বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছি। কিন্তু এগুলোর বাইরেও ডিটক্স ওয়াটার আমাদের দেহের আরো উপকার সাধন করে থাকে। আমাদের চুলের সতেজতা বজায় রাখতেও এটি অনেক উপকারী। ডিটক্স ওয়াটার আমাদের দেহের মধ্য দিয়ে চুলে পুষ্টি পৌঁছিয়ে দিতে সক্ষম।
নিয়মিত নিয়ম মাফিক ডিটক্স ওয়াটার পান করলে মুখের দুর্গন্ধ থেকেও মুক্তি মিলবে। কেননা এই পানীয় পেটের ভিতরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া দূর করে থাকে। এভাবে শরীরকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি একটি সুস্থ মন ও নিশ্চিত করা সম্ভব। এছাড়াও শরীরের গুরুত্বপুর্ণ অংশ লিভার যেটিকে পাওয়ার হাউস বলা হয় সেটি পরিষ্কার রাখতেও ডিটক্স ওয়াটার কাজ করে থাকে।
আমাদের আশেপাশে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা সারাদিনে অনেক বেশি চা- কফি পান করে থাকেন। তাদের এই অভ্যাস বাদ দেওয়ার জন্য কিংবা কমানোর জন্য ডিটক্স ওয়াটার ভালো উৎস হতে পারে। আবার যারা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে অনেকক্ষণ কাজ করেন তারা সহজে না ঘামার কারণে শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান বের হয় না। সেই ক্ষেত্রেও ডিটক্স ওয়াটার অত্যান্ত কার্যকরী।
আরো পড়ুনঃ শরীরের মেদ কমাতে ঘরে বানানো ৫ ধরণের পানীয়
ডিটক্স ওয়াটারের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা ডিটক্স ওয়াটার এর অপকারিতা
ডিটক্স ওয়াটারের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা ডিটক্স ওয়াটার এর অপকারিতা ও যদি
উপযুক্ত উপায়ে কিংবা সঠিক পরিমাণে এটি ব্যবহার করা না
হয়। কেননা প্রত্যেকটি মানুষের দৈহিক চাহিদা বা কার্যক্ষমতা সমান না। একেক জনের চাহিদা ভিন্ন ভিন্ন হওয়ার কারণে পানি
বা ডিটক্স ওয়াটারের চাহিদাও ভিন্ন হবে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত
ডিটক্স ওয়াটার পান করা রক্তে সোডিয়ামের স্বল্পতা সৃষ্টির কারণ হতে
পারে।
বেশি পরিমাণে ডিটক্স ওয়াটার পান করার কারণে অনেকের খিদে কমে যেতে পারে। যার
ফলে দেহে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টির অভাব সৃষ্টি হয়। অনেক সময় অতিরিক্ত ডিটক্স
ওয়াটার হার্টের উপরেও খারাপ প্রভাব ফেলে। পেশি ব্যাথা, লিভারের সমস্যা, শরীর
দুর্বল, বুকে ব্যথা ইত্যাদি নানান সমস্যা হতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে
ওভারহাইড্রেশন হয়ে যায় ফলে শরীর ফুলে নানা জটিলতা দেখা দেয়।
ডিটক্স ওয়াটার সাময়িক ভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এই
পানি পান করার কারণে দেহের বিপাক শক্তি কমে যেতে পারে। যার কারণে বমি বমি ভাব,
কাজে অনীহা, দুর্বলতা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে ডায়াবেটিক রোগী ও
হৃদরোগীদের ডিটক্স পানি পানের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরী।
ডিটক্স ওয়াটার এর উপকারিতা ও এর বাইরে কিছু প্রশ্ন
ডিটক্স ওয়াটার এর উপকারিতা ও এর বাইরে কিছু প্রশ্ন থাকে যেগুলোর কারণে আমাদের
মধ্যে নানান দ্বিধা সৃষ্টি হয় ফলে আমরা সঠিক উপায়ে এটি ব্যবহার করতে পারি না বা
চাই না। তাই চলুন ডিটক্স ওয়াটার নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর আগে বের করা যাক।
ডিটক্স ওয়াটার কখন খাওয়া উচিত?
উঃ বেশির ভাগ রিসার্চে দেখা যায় পুষ্টিবীদরা সকালে খালি পেটে ডিটক্স ওয়াটার
খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রে সকালে খালি পেটে এই পানীয়
খাওয়ার কারণে পেটের সমস্যা বা গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয়। তাই তাদের জন্য খালি পেটে
না খেয়ে নাস্তা খাওয়ার আধা ঘন্টা বা এক ঘন্টা পর থেকে এটি খাওয়া শুরু করা ভালো।
সারাদিনে কতটুকু ডিটক্স ওয়াটার খাওয়া উচিত?
উঃ এটি নির্ভর করে মূলত একজন মানুষের বয়স, দৈহিক চাহিদা, কাজের ধরণ, খাদ্যভাস
ইত্যাদি বিষয়ের উপরে। এসব বিবেচনায় এটির পরিমাণ ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকলেও বেশিরভাগ
ক্ষেত্রে হাইড্রেশন অনুযায়ী ২-৩ লিটার ডিটক্স ওয়াটার পান করা শ্রেয়।
ডিটক্স ওয়াটার কতবার রিফিল করা যায় বা কতক্ষণ ভালো থাকে?
উঃ এটি সাধারণত ২ থেকে ৩ বার রিফিল করা যায়। এবং ফ্রীজে রাখার ক্ষেত্রে ২ থেকে ৩
দিন এটি ভালো থাকে। কিন্তু বাইরে রাখা থাকলে বেশিক্ষণ ভালো রাখা যায় না। অনেক সময়
ফল ১০-১২ ঘন্টার বেশি ভিজিয়ে রাখলে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটে।
ডিটক্স ওয়াটার তেঁতো লাগে কিনা?
উঃ যেহেতু ফল অনেকক্ষণ ভিজিয়ে রাখার মাধ্যমে ডিটক্স ওয়াটার তৈরি করা হয় কাজেই
অনেক সময় এটি তেঁতো লাগতে পারে। এর কারণ সাইট্রাস বা ফলের খোসা যা দীর্ঘক্ষণ
ভিজার কারণে হয়। যত বেশি সময় ধরে ফলগুলো দ্রবীভূত হবে তত বেশি খোসার অম্লীয় স্বাদ
পানিতে মিশে তাকে তিক্ত করবে।
শীতকালে ডিটক্স ওয়াটার খাওয়া যাবে কিনা?
উঃ জ্বী, শীতকালে বিশেষ করে জিরার ডিটক্স ওয়াটার বেশ কার্যকরী। জিরার ডিটক্স
ওয়াটার বানানোর জন্য এক গ্লাস পানিতে ১-২ চামচ জিরা সারারাত ভিজিয়ে রেখে দিয়ে
সকালে তা ছেঁকে পান করতে হবে। এছাড়াও হালকা গরম পানিতে আদা দিয়েও শীতকালে ডিটক্স
ওয়াটার পান করা উপকারী।
ডিটক্স ওয়াটার একাটানা কতদিন খাওয়া ভালো বা উচিত?
উঃ অনেকের পুষ্টিবিদের মতে প্রতি ১৫ দিন পর পর ডিটক্স ওয়াটারের ধরণ বদলানো উচিত। সাধারণত জটিল কোনো সমস্যা ব্যতীত সুস্থ সকল মানুষই প্রতিদিন ডিটক্স ওয়াটার পান করতে পারেন। কিন্তু এটি পানে কোনো সমস্যা দেখা দিলে তা প্রয়োজন বুঝে পান করতে হবে বা প্রতিদিন পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
আরো পড়ুনঃ তিসি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
শেষ কথা- ডিটক্স ওয়াটার এর উপকারিতা
ডিটক্স ওয়াটার এর উপকারিতা সম্পর্কে আমরা আলোচনা করার পাশাপাশি আপনাদেরকে এটির
অন্যান্য দিক সম্পর্কেও বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। সর্বপরি বর্তমান
প্রেক্ষাপট অনুযায়ী ডিটক্স ওয়াটার আমাদের দেশে ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা লাভ করছে।
কাজেই এটি সম্পর্কে ভালো মন্দ সকল দিক বিবেচনা করে এটি আমাদের কাজে লাগানো
উচিত। আশা করি আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা প্রয়োজনীয় বিষয় গুলো জানতে
পেরেছেন। ধন্যবাদ!
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url