আর্টিকেল লেখার নিয়ম- ব্লগে কন্টেন্ট লেখার নিয়ম

 আরো পড়ুনঃ মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায়

আর্টিকেল লেখার নিয়ম বা ব্লগে কন্টেন্ট লেখার নিয়ম নিয়ে আমাদের মধ্যে যাদের নানান প্রশ্ন আছে তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি। এখানে আমরা আর্টিকেল লেখার বিভিন্ন নিয়ম জানার পাশাপাশি অন্যান্য দিকও জানবো
আর্টিকেল লেখার নিয়ম
বর্তমানে ফ্রিলান্সিং এর দুনিয়ায় আর্কেটিল রাইটিং বেশ ডিমান্ডিং সেক্টর। দিন দিন এই চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় এটি শেখার বিষয়ে মানুষের আগ্রহও বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

পেজ সুচিপত্রঃ আর্টিকেল লেখার নিয়ম- ব্লগে কন্টেন্ট লেখার নিয়ম

আর্টিকেল রাইটিং বা কন্টেন্ট রাইটিং কী

আর্টিকেল রাইটিং বা কন্টেন্ট রাইটিং কী তা সম্পর্কে আমাদের অনেকের জানা থাকতে পারে। আবার অনেকেই এই বিষয়ে জানিনা। এজন্য প্রথমেই এটি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া জরুরী। আর্টিকেল বলতে মূলত নিবন্ধ বিশেষকে বুঝায়। আমরা বিভিন্ন পত্রিকা বা ম্যাগাজিনে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বা সাম্প্রতিক বিষয়ে যে সকল লেখা দেখতে পায় তাকেই আর্টিকেল বা কন্টেন্ট বলা হয়। 

বিভিন্ন পত্রিকা বা ম্যাগাজিন ছাড়াও অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন নানান বিষয়ে মানুষ আর্টিকেল লিখে থাকে। বরং আজকাল পেপার বা ম্যাগাজিনের তুলনায় মানুষের কাছে অনলাইন আর্টিকেলের চাহিদা বেশি। যেটি এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। আর এই জনপ্রিয়তা বা চাহিদাকে কেন্দ্র করেই মানুষ সঠিক নিয়মে আর্টিকেল কন্টেন্ট লেখা শিখতে চায়।

মানুষ তার সুবিধা মতো যেকোনো ভাষায় আর্টিকেল লিখে নিজের জ্ঞান বা মতামত শেয়ার করতে পারে। আবার বিভিন্ন উৎস বা রেফারেন্স থেকে কোনো বিষয়ের সঠিক তথ্য সংগ্রহ করে বা বিভিন্ন রিসার্চের পরে তা সম্পর্কে আর্টিকেল বা কন্টেন্ট লেখা হয়। বিভিন্ন উদ্দ্যেশ্যে এটি লেখা হলেও মূলত মানুষের জ্ঞান বৃদ্ধি করে সচেতনতা সৃষ্টি করা, সমস্যার সমাধান দেওয়া বা শিক্ষিত করা এটির মূল উদ্দ্যেশ্য।

আর্টিকেল লিখে কী কী উপায়ে আয় করা সম্ভব

আর্টিকেল লিখে কী কী উপায়ে আয় করা সম্ভব তা সম্পর্কে এখন আমারা বিস্তারিত জানবো। আমরা একটু আগেই জেনেছি যে অনলাইনে আর্টিকেলের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর তাই দেশে বিদেশে নানানা ব্যক্তি বিভিন্ন উপায়ে ফ্রীলান্সিং এর মাধ্যমে ঘরে বসে আর্টিকেল লিখে মাসে একটি ভালো অঙ্কের ইনকাম করে থাকে। 

নিজস্ব সাইটে আর্টিকেল লিখে আয় করার উপায়

নিজস্ব সাইটে আর্টিকেল লিখে আয় করার উপায় আছে। আমরা চাইলে প্রথম অবস্থায় নিজস্ব ওয়েবসাইট বানিয়ে সেখানে আর্টিকেল লিখতে পারি। আমাদের দেশে এমন অনেক প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি রয়েছে যারা নিজেদের সাইটে আর্টিকেল বা কনটেন্ট লেখার মাধ্যমে মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করে থাকে। প্রতিদিন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে সঠিক ও সত্য আর্টিকেল পাবলিশ করার মাধ্যমে একটি বিশাল সংখ্যক পাঠক বা ভিউয়ার পাওয়া যায়।

তারা যখন উক্ত ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিষয়ের আর্টিকেল পড়ে তখন উক্ত ওয়েবসাইটে টাকা আয় নিশ্চিত হয়। যত বেশি ভিউয়ার হবে বা যত সময় ভিউয়াররা ওয়েবসাইটে ব্যয় করবে তত বেশি আয় হবে। এজন্য অনেকেই বিভিন্ন ব্লগিং ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে নিজেরা আর্টিকেল লিখে তা পাবলিশ করেন।

আর্টিকেল লিখে গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে আয়

আর্টিকেল লিখে গুগল অ্যাডসেন্সের  মাধ্যমে আয় করা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি আবার অনেকেই জানিনা। গুগল এডসেন্স হলো একটি বিজ্ঞাপনের মাধ্যম বা ওয়েব এপ্লিকেশন যেটি গুগল দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে। এটা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ব্যবহৃত বিজ্ঞাপন থেকে ব্যবহারকারীকে অর্থ উপার্জনের সুযোগ করে দিয়েছে।

অর্থাৎ আমরা চাইলে নিজেদের ব্লগিং ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখিয়ে সেখান থেকে আয় করতে পারি। কেননা বর্তমানে মানুষ অনলাইনে আর্টিকেল পড়ার মাধ্যমে অনেক সময় ব্যয় করে থাকেন। আর সেই সময়ে ওয়েবসাইটের পাবলিশারসরা তাদের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিষয়ে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে থাকে। এতে যে বিষয়ে বিজ্ঞাপন দেখানো হলো সেটির পরিচিতি বাড়ে এবং অর্থ উপার্জনও হয়। 

এছাড়াও চাইলে নিজেদের ওয়েবসাইটে লোকাল এড বা দেশীয় এড দেখানোর মাধ্যমে আয় করা সম্ভব। বিভিন্ন নিউজ পত্রিকায় আমরা যে বিভিন্ন ধরনের দেশীয় বিজ্ঞাপন দেখতে পায় সে গুলোকেই মূলত লোকাল অ্যাড বলা হয়। অসংখ্য ভিউয়ারদের মাঝে এই লোকাল অ্যাড গুলো প্রদর্শন করার মাধ্যমেও ভালো পরিমাণের অর্থ উপার্জন হয়।

অন্যদের কাছে আর্টিকেল বিক্রি করে আয় করা

অন্যদের কাছে আর্টিকেল বিক্রি করে আয় করা সম্ভব কিনা ভাবছেন? অবশ্যই সম্ভব! আপনি চাইলে আর্টিকেল লেখার নিয়ম শিখে নিজের ওয়েবসাইটের একাধিক আর্টিকেল অন্য কোন ওয়েবসাইটের কাছে অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করে দিতে পারেন। আমাদের দেশে এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যারা প্রতিনিয়ত নিজেদের ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল বা কনটেন্ট ক্রয় করে থাকে।

তাদেরকে কেন্দ্র করে অনেক ব্যক্তি নিজের আর্টিকেল তাদের কাছে বিক্রি করে থাকেন। কেউ চাইলে এই কাজকে কেন্দ্র করে নিজেদের একটি টিম গঠন করে ফেলতে পারেন। যেখানে সবাই বিভিন্ন বিষয়ে আর্টিকেল বা কনটেন্ট লেখার কাজ করে থাকবে। এবং একটি নির্দিষ্ট সময় শেষে নির্দিষ্ট পরিমাণ আর্টিকেল অন্যের কাছে বিক্রি করার মাধ্যমে ভালো পরিমানে অর্থ উপার্জন করা যাবে। 

ফ্রিল্যান্সিং সাইটে আর্টিকেল লিখে আয় করার উপায়

ফ্রিল্যান্সিং সাইটে আর্টিকেল লিখে আয় করার উপায় সারা বিশ্বের মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয়। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস যেমন ফাইবার, আপ ওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ডটকম ইত্যাদি আর্টিকেল লিখে আয় করার জনপ্রিয় মাধ্যম। এখানে বিভিন্ন দেশের আর্টিকেল রাইটার রয়েছেন যারা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে নির্দিষ্ট সংখ্যক আর্টিকেল লিখে থাকেন।

এবং সেগুলো বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করেন। আপনিও চাইলে সঠিক উপায়ে আর্টিকেল লেখা শিখে এই ফ্রিল্যান্সিং সাইট গুলোতে আর্টিকেল রাইটিং করে আয় করতে পারেন। আপনি যদি সঠিক উপায়ে এবং সঠিক বিষয় আর্টিকেল লিখতে পারেন তাহলে মাসে একজন চাকরিজীবীর তুলনায় বেশি আয় করতে পারেন।

আর্টিকেল লেখার চাকরি বা জব 

আর্টিকেল লেখার চাকরি বা জব করেও যেকোনো ব্যক্তি অর্থ উপার্জন করতে পারে। বিভিন্ন ওয়েবসাইট প্রতিনিয়ত অনেক বিষয়ে আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকে। অনেক বিষয়ে আর্টিকেল লেখার জন্য অনেক সময় একাধিক ব্যক্তির প্রয়োজন হয়। তখন উক্ত ওয়েবসাইটের  মালিকরা দক্ষ আর্টিকেল রাইটার নিয়োগ দিয়ে থাকেন। যারা চাইলে ঘরে বসেই দক্ষতার সাথে আর্টিকেল লেখার মাধ্যমে এই জবগুলো করতে পারেন।
আর্টিকেল লিখে কী কী উপায়ে আয় করবেন

আর্টিকেল লেখার সাইট বিক্রি করে অর্থ উপার্জন 

আর্টিকেল লেখার সাইট বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করা যায়। ভাবছেন কিভাবে সম্ভব? চলুন তাহলে জানা যাক! কোন ব্যক্তি চাইলে নিজের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আর্টিকেল লিখতে পারে এবং সেই ওয়েবসাইটটি নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে অন্যের কাছে বিক্রি করে দেওয়া সম্ভব।

আমাদের দেশে বিভিন্ন ওয়েবসাইট রয়েছে যারা নিজেদের জন্য কিংবা অন্যের জন্য আর্টিকেলের ওয়েবসাইট ক্রয় করে এবং সেখানে গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে আয় করে থাকে। এবং ওয়েবসাইট বিক্রয়কারীরা তাদের ওয়েবসাইটের ধরন অনুযায়ী তা বিক্রি করে লক্ষ টাকা টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারে।

আর্টিকেল রাইটিং কোর্স বিক্রি করে আয় 

আর্টিকেল রাইটিং কোর্স বিক্রি করে আয় করাও সম্ভব। যেহেতু আমরা আগেই জেনেছি বর্তমানে আর্টিকেল রাইটিং একটি জনপ্রিয় কাজ। তাই অনেকেই এই বিষয়ে শিখতে আগ্রহী হয়ে থাকেন। তারা এই বিষয়ে দক্ষ কোনো ব্যক্তির নিকট থেকে সকল নিয়ম নীতি শিখতে চায়। কেউ যদি নিজে আর্টিকেল রাইটিং এ দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে অন্যের কাছে তা কোর্স আকারে বিক্রি করতে পারে। 

এতে সেই ব্যক্তি নিয়েও আয় করতে পারবে আবার অপর ব্যক্তিও আর্টিকেল রাইটিং শিখতে পারবে। আমাদের আসে পাশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নিজের আর্টিকেল রাইটিং এর দক্ষতা অর্জন করার পর এই বিষয়ক কোর্স তৈরি করে। সেই কোর্স অর্থের বিনিময়ে অন্যদের কাছে বিক্রির মাধ্যমে অন্যদেরকে তা শিখিয়ে থাকে এতে তারা নিজেরা অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি অন্যের চাহিদা পূরণ করতে পারে।

আর্টিকেল লিখে কত টাকা আয় করা সম্ভব 

আর্টিকেল লিখে কত টাকা আয় করা সম্ভব তা নিয়ে আমাদের মনে নানান ধরণের প্রশ্নের শেষ নেই। দিন দিন এই কাজের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় এটির মাধ্যমে অনলাইন থেকে ইনকাম করার একটি বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে। দেশে বিদেশে অসংখ্য মানুষ শুধু আর্টিকেল রাইটিং এর মাধ্যমেই ভালো মানের অর্থ আয় করতে পারে।

আর্টিকেল লিখে আয় করার নির্দিষ্ট কোনো নির্ধারিত মূল্য নেই। এটি সম্পুর্ণ নির্ভর করে একজন আর্টিকেল রাইটারের উপর যে তিনি কীভাবে এই কাজে নিজের সময় দিচ্ছেন। কেননা এই সেক্টরে যে যত বেশি সময় ও শ্রম দিতে পারবে তার ক্ষেত্রে আয়ের হার ও বেড়ে যাবে। বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে একজন আর্টিকেল রাইটার তার কাজের দক্ষতা অনুসারে মূল্য নির্ধারণ করতে পারে।

সাধারণত বড় বড় সাইট গুলোতে আর্টিকেল রাইটাররা এক একটি আর্টিকেল লেখার বিনিময়ে ৫-১০০০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারে। অনেকেই এর থেকে আরো বেশিও আয় করে থাকেন। অর্থাৎ কাজের ধরণ অনুসারে আয়ের পরিমাণ ভিন্ন ভিন্ন। আবার যারা দেশীয় বিভিন্ন কোম্পানিতে আর্টিকেল রাইটিং এর জব করে থাকেন তারা তাদের লেখার মান অনুযায়ী হাজার হাজার টাকা আয় করতে পারেন।

আর্টিকেল লেখার নিয়ম - বাংলায়

আর্টিকেল লেখার নিয়ম আমাদের সঠিক ভাবে জানা বা শিখা উচিত। কেননা এটিকে প্রথমত সহজ মনে হলেও এটির ক্ষেত্রে বিশেষ নিয়ম নীতি মানতে হয়। অন্যথায় আর্টিকেল লিখে আয় করা অসম্ভব। আমরা এতক্ষণ আর্টিকেল রাইটিং এর নানার ব্যবহার সম্পর্কে জানলাম। এখন তাহলে আর্টিকেল রাইটিং এর সঠিক উপায় সম্পর্কে জানা যাক।

সঠিক নিশ নির্বাচনঃ ওয়ার্ডপ্রেস বা ব্লগার ব্যবহার করে আর্টিকেল রাইটিং ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। সুবিধা অনুযায়ী প্রথমে যেকোনো প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করা প্রয়োজন। সেখানে কি বিষয়ে আর্টিকেল লেখা হবে তার জন্য সঠিক ক্যাটাগরি বা নিশ নির্বাচন করতে হবে। কেননা মানুষ কোন বিষয়ে আগ্রহী কিংবা কোন বিষয়ে মানুষকে জানানো প্রয়োজন তা সঠিকভাবে নির্বাচন করার মাধ্যমেই আপনার আর্টিকেলের গুরুত্ব বৃদ্ধি পাবে যা থেকে আয় হবে।
বাংলায় আর্টিকেল লেখার নিয়ম
সঠিক তথ্য খুঁজে বের করাঃ আমরা যখন প্রথম প্রথম আর্টিকেল রাইটিং করি তখন যে বিষয়ে লিখছি সেটি সম্পর্কে সম্পূর্ন জ্ঞান থাকা জরুরী। নিজের ইচ্ছা বা সামান্য ধারণা নিয়ে আর্টিকেল লেখা সম্ভব না। তাই বিভিন্ন মাধ্যমে উক্ত বিষয়ের বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। যেগুলো অবশ্যই সঠিক ও সত্য হওয়া প্রয়োজন। এজন্য যারা নতুন আর্টিকেল রাইটিং শুরু করে তাদেরকে প্রথমে অনেক সময় ব্যয় করতে হয় তথ্য খুঁজে বের করতে।

আর্টিকেলের শুরুতে ভূমিকা দেওয়া: আর্টিকেল রাইটিং এর সময় যে বিষয়ে আর্টিকেল লেখা হবে তা সম্পর্কে কয়েক লাইন ভূমিকা আকারে প্রথমেই রাখতে হবে। যেখানে বলা থাকলে যে পুরো আর্টিকেলটি কি বিষয়ে লেখা হয়েছে। এতে মানুষ প্রথমে পুরো আর্টিকেল পড়ার আগে ভূমিকা পড়ে ডিসাইড করতে পারবে যে সে পুরো আর্টিকেলটি পড়বে কিনা।

আর্টিকেলে উপযুক্ত ইমেজ ব্যবহার: যেকোনো আর্টিকেলকে আকর্ষণীয় করে তুলতে উপযুক্ত ইমেজ ব্যবহার করা জরুরী। কেননা একটি আর্টিকেলে তথ্য শুধু লিখে প্রকাশ না করে মাঝে মাঝে কিছু ইমেজ ব্যবহার করা হলে পাঠককে সামনে আরো পড়ার জন্য আগ্রহী করে তোলে। এজন্য আর্টিকেল রিলেটেড ইমেজ তৈরি করতে হবে। এক বিষয়ে আর্টিকেল লিখে সেটির জন্য অন্য বিষয়ের ইমেজ তৈরি করা যাবে না। সঠিক নিয়মে সঠিক সাইজের ইমেজ বানানো আর্টিকেল রাইটিং এর জন্য আবশ্যক।

হট লিংকিং না করা: হট লিংকিং বলতে মূলত একটি আর্টিকেল বা পোস্টের মধ্যে পোস্ট বা আর্টিকেলের ইমেজ লিংক কপি করে বসানো কে বোঝায়। আর আপনি আপনার আর্টিকেলে ইমেজ বসানোর জন্য অন্য কারোর আর্টিকেলের ইমেজ লিংক কপি করতে পারেন। কিন্তু এটি করার ফলে আপনার ওয়েবসাইটে উক্ত ইমেজটি কতক্ষণ বা কতদিন থাকবে তা আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকবে না।

অর্থাৎ আপনি যেখান থেকে ইমেজ লিংক কপি করেছেন সেটির উপর এটি স্থায়িত্ব নির্ভর করবে। ফলে কোন সময় যদি মূল ওয়েবসাইটের ইমেজ তারা ডিলিট বা রিমুভ করে দেয় তাহলে আপনার আর্টিকেল থেকেও বা ওয়েবসাইট থেকেও সেই ইমেজ ডিলিট বা রিমুভ হয়ে যাবে। তখন আবার আপনাকে নতুন করে নতুন ইমেজ বসানো লাগবে। এজন্য নিজেরদের আর্টিকেলে হট লিংকিং করা থেকে না করায় ভালো। 

প্যারাগ্রাফ শিরোনাম দেওয়া: যেকোনো আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই তা প্যারা আকারে রাখা প্রয়োজন। এতে পাঠকের পড়ার সুবিধা হবে এবং আপনার আর্টিকেলের মানও বাড়বে। আর্টিকেলে প্যারাগ্রাফ শিরোনাম ব্যবহার করায় পাঠকের কাছে বিভিন্ন বিষয়বস্তু সহজে ধরা পড়বে এবং পাঠক সাবলীল ভাবে আর্টিকেল পড়তে পারবেন। 

অন্য পোস্ট বা আর্টিকেলের লিংক দেওয়া: একটি আর্টিকেলের মধ্যে অন্য আর্টিকেলে লিংক দেওয়া জরুরি। এতে পাঠক একটি আর্টিকেল পড়ার পাশাপাশি আপনার অন্য আরটিকেলটি সম্পর্কেও জানতে পারবে এবং সেটি পড়তে আগ্রহী হবে। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে যে আপনি যে বিষয়ে আর্টিকেল লিখেছেন সেই বিষয় রিলেটেড পোস্টের এড নির্বাচন করা লাগবে। 

শেষ কথাঃ আর্টিকেল লেখার নিয়ম

আর্টিকেল লেখার নিয়ম বা ব্লগে কন্টেন্ট লিখার নিয়ম সম্পর্কে আমাদের মনে অনেক অজানা প্রশ্ন থেকে থাকে। সেই সকল প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই আমাদের আজকের এই আর্টিকেল। বর্তমান যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে যেকোনো সময় আমাদেরকে আর্টিকেল লেখার সকল নিয়ম কানুন সম্পর্কে জানতে হবে। তাই আশা করি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন। ধন্যবাদ! 

 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url