মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায়

 
মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে জানতে আজকের আর্টিকেলে আপনাদের স্বাগতম। কীভাবে কী কী ভাবে মাসে ৫০ হাজার টাকা বৈধ উপায়ে আয় করা যাবে তা জানতে সম্পুর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার অনুরোধ থাকলো।
মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
বর্তমান সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে অনলাইন কিংবা অফলাইন দুই মাধ্যমেই মাসে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে। এর জন্য প্রয়োজন সঠিক দিক নির্দেশনা ও পরিশমী মানসিকতা।

পেজ সুচিপত্রঃ মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায়।

মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার অনলাইন মাধ্যম

মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার অনলাইন মাধ্যম গুলোর মধ্যে অনেক কিছু উল্লেখ করা যায়। কেননা ইন্টারনেটের এই যুগে টাকা ইনকামের বিভিন্ন অনলাইন উপায় তৈরি হয়েছে যেগুলো সম্পর্কে আগে কারো ধারণা ছিলো না। বর্তমানে সেগুলোকে কাজে লাগিয়ে দেশে বিদেশে হাজার হাজার মানুষ মাসে ৫০ হাজার টাকা কিংবা তার থেকেও বেশি ইনকাম করতে সক্ষম। তাই এসম্পর্কে আমাদের সঠিক জ্ঞান বা ধারণা থাকা জরুরী।

ফ্রীলান্সিং করে টাকা আয় করা
ফ্রীলান্সিং করে টাকা আয় করা বর্তমানের সবচেয়ে জনপ্রিয় অনলাইন মাধ্যম। ফ্রীলান্সিং বলতেই অনলাইনে যে সকল কাজ পাওয়া যায় বা করা হয় তাকে বুঝায়। এটি এক ধরণের মুক্ত পেশা। যারা এই পেশায় নিযুক্ত থাকেন তাদের ফ্রীল্যান্সার বলা হয়। ফ্রীল্যান্সাররা নিজেদের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে দেশের বাইরে বিদেশের কোম্পানির জন্যও কাজ করে টাকা আয় করতে পারেন। এগুলোর জন্য বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম রয়েছে।
  
যেমন- ফাইবার,  আপওয়ার্ক, ফ্রীল্যান্সার, কুইকবুকস ইত্যাদি জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস। এখানে যেকোনো ব্যক্তি তার নির্দিষ্ট কোনো কাজের দক্ষতাকে কাজে লাগাতে পারে। যেহেতু এখানে অনেক ধরণের কাজ পাওয়া যায় সেহেতু সেগুলো সম্পর্কে জ্ঞান না থাকলে সেগুলো করে আয় করা সম্ভব না। এখানে বিভিন্ন সেক্টর যেমন কন্টেন্ট রাইটিং, ভিডিও এডিটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইনিং, অ্যাকাউন্টিং ফ্রীলান্সিং ইত্যদি রয়েছে যা থেকে মানুষ আয় করে থাকে। নিচে আমরা এইগুলো বিস্তারিত জানবো।

ফ্রীলান্সিং এর এই মাধ্যম গুলো থেকে দুই ভাবে ইনকাম করা সম্ভব। একটি হলো প্যাসিভ ইনকাম ও আরেকটি হলো অ্যাক্টিভ ইনকাম। প্যাসিভ ইনকাম বলতে সেই ইনকামকে বুঝায় যেখানে একজন ফ্রীল্যান্সার শুরুতে অনেক বেশি পরিশ্রম করে একটি ভালো পর্যায়ে পৌঁছাতে পারলে পরবর্তিতে সে অল্প পরিশ্রম করেই টাকা ইনকাম করতে পারবে। অর্থাৎ তাকে টাকা ইনকাম করার জন্য নিয়মিত কাজ করার দরকার নেই।

অন্যদিকে অ্যাক্টিভ ইনকামের ক্ষেত্রে ফ্রীল্যান্সার যতক্ষণ বা যতটুকু কাজ করবেন সেই হিসাবেই তাৎক্ষণিক ইনকাম হবে। পরবতীতে কাজ বন্ধ করে দিলে আয়ও বন্ধ হয়ে যাবে। মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজের ধরণ এই রকম হয়ে থাকে। এখানে ফ্রীল্যান্সাররা তাদের সেবা সরাসরি দেওয়ার মাধ্যমে সাথে সাথেই টাকা ইনকাম করে থাকে। এই ইনকামের পরিমাণ মাসে ৫০ হাজার থেকে শুরু করে লাখ টাকা পর্যন্তও হতে পারে।

ব্লগিং করে মাসে ৫০০০০ বা তার অধিক ইনকাম করাঃ
ব্লগিং করে মাসে ৫০০০০ বা তার অধিক ইনকাম করা সম্ভব। ব্লগিং বলতে মূলত নিজের মতামত বা জ্ঞান প্রকাশ করার মাধ্যমকে বুঝায়। অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি তার জানা কোনো বিষয় নিয়ে চাইলেই নিজের কিংবা অন্যের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখতে পারে যা ব্লগিং নামে পরিচিত। যে বিষয়ে মানুষের আগ্রহ বেশি সেগুলো সম্পর্কে সঠিক তথ্য রিসার্চের মাধ্যমে সেগুলো নিয়ে লেখালেখি করে আপনিও ব্লগিং শুরু করতে পারেন।

নিজস্ব ওয়েবসাইট বানিয়ে সেখানে নিমানুযায়ী ব্লগিং করতে পারলে আপনার জন্য প্যাসিভ ইনকামের রাস্তা তৈরি করা সম্ভব। আপনার ব্লগ গুলো মানুষের কাছে পৌঁছানোর পর মানুষ যখন তা পছন্দ করতে শুরু করবে তখন আপনার ইনকাম শুরু হবে। এভাবে ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বা ভিজিটরস বাড়তে থাকলে গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে আপনার ইনকাম আরো একধাপ এগিয়ে যাবে।

ডিজিটাল মার্কেটিং করে মাসে ৫০ হাজার টাকা ইনকামের উপায়
বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং বহুল ব্যবহৃত একটি শব্দ। ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে একজন ব্যক্তি যখন তার পণ্য বা সেবাকে নির্দিষ্ট সেবা গ্রহণকারীর কাছে তুলে ধরে বা প্রচার করে তখন তাকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলে। অর্থাৎ যে কোনো পণ্য বা সেবাকে মানুষের সামনে তুলে ধরার সবচেয়ে আধুনিক পদ্ধতি হলো এই ডিজিটাল মার্কেট মার্কেটিং।

যেকোনো ব্যক্তি প্রযুক্তিগত দক্ষতার মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারে। এখানে যে সকল বিষয়ে কাজ করা হয় সেগুলোর মধ্যে রয়েছে এসইও, সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, সিপিএ, সি পি ভি, পিপিভি ইত্যাদি।অনলাইন, ইউটিউব অথবা অফলাইনে কোর্স করার মাধ্যমে এ বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে ইনকাম করা সম্ভব।

গ্রাফিক্স ডিজাইন করে মাসে হাজার টাকা ইনকাম
গ্রাফিক্স ডিজাইন বর্তমানে বেশ চাহিদা পূর্ণ একটি পেশা। সারাবিশ্বে অনেকেই গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর মাধ্যমে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলেছেন। আপনার মধ্যে যদি ক্রিয়েটিভিটি থেকে থাকে তাহলে আপনি এটিকে নিজের ক্যারিয়ার হিসেবে বেঁছে নিতে পারেন। গ্রাফিক্স ডিজাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের লোগো ডিজাইন, ব্যানার তৈর্‌ পোস্টার তৈরি, আইডি কার্ড বানানো ইত্যাদি নানান ধরনের কাজ করা হয়। যেগুলোর চাহিদা ব্যাপক।
মাসে ৫০ হাজার টাকা আয়ের অনলাইন মাধ্যম
বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস যেমন আপওয়ার্ক, ফাইবার, ফ্রিল্যান্সার ডটকম ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মে গ্রাফিক্স ডিজাইন রিলেটেড নানান কাজের চাহিদা রয়েছে। একজন ব্যক্তি চাইলে গ্রাফিক্স ডিজাইনে দক্ষ হয়ে এই সকল প্লাটফর্মের মাধ্যমে ঘরে বসে যেকোনো দেশের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে নিজের কাজ তুলে ধরে ইনকাম করতে পারে।

ইউটিউবিং বা ফেসবুক কন্টেন্টের মাধ্যমে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয়ঃ 
ইউটিউবে চ্যানেল ক্রিয়েট করার পরে এখানে নানান বিষয়ে ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যায়। বর্তমানে অসংখ্য ব্যক্তি তাদের ক্রিয়েটিভিটিকে কাজে লাগে বিভিন্ন বিষয় মানসম্মত ভিডিও তৈরি করার মাধ্যমে ইউটিউব থেকে ভালো পরিমাণে অর্থ আয় করে থাকে।এক্ষেত্রে সফল হওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই সঠিক বিষয়বস্তু বা নিশ নির্বাচন করতে হবে যেন আপনার  ভিওয়ারের কাছে তা গ্রহণযোগ্য হয়।

ফেসবুক ব্যবহার করেনা এমন ব্যক্তি বর্তমানে খুঁজে পাওয়া কঠিন। কেননা এটি অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। অধিকাংশ মানুষ বেশিরভাগ সময় ফেসবুকে অতিবাহিত করে থাকেন। আপনি চাইলে এটিকে কাজে লাগিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন। ফেসবুক মার্কেটিং থেকে শুরু করে ফেসবুকে ব্লগিংসহ বিভিন্ন বিষয়ের মাধ্যমে বর্তমানে মানুষ আয় করে থাকে। এক্ষেত্রে আপনি ফেসবুক ব্যবহারে পারদর্শী ও ক্রিয়েটিভ হলেই যথেষ্ট।

ডেটা এন্ট্রি করার মাধ্যমে মাসে হাজার টাকা আয়ঃ
ফ্রীলান্সিং এর মাধ্যমে টাকা আয়ের যাত্রা শুরুর জন্য ডেটা এন্ট্রি একটি সহজ উপায়। ফ্রীলান্সিং এর অন্যান্য সেক্টর গুলোর তুলনায় এটি তুলনামুলক সহজ বলে অনেকেই এটিকে বেঁছে নেয়। আপনার যদি মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ও মাইক্রোসফট এক্সেল নিয়ে ভালো ধারনা থাকে তাইলে আপনিও ডেটা এন্ট্রির কাজ করতে পারবেন। কেননা এটি এমন একটি কাজ যেখানে ক্লায়েন্টের ডেটা ইলেকট্রনিক্স বা ডিজিটালাইজ উপায়ে ক্লায়েন্টকে তৈরি করে দেওয়া হয়। 

ডেটা এন্ট্রি একটি সহজ কাজ হলেও কম্পিউটারের বেসিক জ্ঞান না থাকলে এটি করা সম্ভব নয়। এজন্য কম্পিউটার বেসিক জ্ঞান, টাইপিং দক্ষতা, বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহারের দক্ষতা, যোগাযোগের দক্ষতা ইত্যাদি থাকা জরুরী। ইউটিউবে বিভিন্ন ফ্রি ভিডিও দেখে এই বিষয়ে প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা অর্জন করা যায়। এগুলোকে কাজে লাগিয়ে এক মাসের মধ্যেই চাইলে এই বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করা সম্ভব।

মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায় হিসেবে অফলাইন মাধ্যম

মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায় হিসেবে অফলাইন মাধ্যম গুলো নিয়ে এখন আমরা বিস্তারিত জানবো। কেননা অনলাইন মাধ্যম যেগুলো আমরা উপরে আলোচনা করেছি সেগুলো বিভিন্ন করণে অনেকের কাছেই অনুকূল না-ও হতে পারে। তাদের জন্য অফলাইনে নানান সুযোগ রয়েছে যেগুলোকে সঠিক উপায়ে কাজে লাগাতে পারলে মাসে হাজার টাকা ইনকাম করা সম্ভব।

ফুডকর্ণার বা ফাস্ট ফুডের স্টল দিয়ে মাসে হাজার টাকা ইনকাম
ফুড আইটেমকে কাজে লাগিয়ে খুব সহজেই কম খরচে ফুডকার্ট বসানো যায়। যেখান থেকে খাবারের মান ও সার্ভিস ভালো রাখার মাধ্যমে অনায়াসে মাসে ৫০ হাজারের মতো ইনকাম করা সম্ভব। সুবিধাজনক স্থানে খুব বেশি ঝামেলা ছাড়ায় এই ব্যবসায় করা যায়। আবার এখান থেকে ক্ষয়ক্ষতি বা লোকসানের আশঙ্কাও কম। দিন দিন আসে পাশে বিভিন্ন জায়গায় এরকম ফুডকার্ট দেখা যায়।

মূলত লাভবান হওয়া যায় বলেই অনেকেই এই পেশা বেঁছে নেয়। আপনিও চাইলে এই মাধ্যম অবলম্বন করতে পারেন। কিন্তু যেকোনো ব্যবসায় শুরুর আগে অবশ্যই সকল দিক বিবেচনা করে একটি সঠিক পরিকল্পনা তৈরি করে নেওয়া জরুরী। এবং কোনটি ন্যায় ও কোনটি অন্যায় সেই পার্থক্য বুঝার ক্ষমতা রাখতে হবে। যদি সৎ ও ন্যায় পথে কাজ চালিয়ে যাওয়া যায় তাহলে সফলতা নিশ্চিত।

রিসেলিং বা রিসেলারের কাজ করে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
স্বল্প ইনভেস্টে একজন ব্যক্তি চাইলেই এই রিসেলিং বা রিসেলারের কাজ করতে পারেন। রিসেলিং বলতে মূলত পুনঃ বিক্রয় করাকে বুঝায়। অর্থাৎ একজন রিসেলার প্রথমে উৎপাদনকারী বা পাইকারী ব্যবসায়ীর কাছ থেকে পন্য কম মুল্যে ক্রয় করে তা সরাসরি গ্রাহকের কাছে উচ্চ মুল্যে বিক্রি করে মুনাফা করতে পারে। ভালো মানের পণ্য সঠিক স্ট্রাটেজী ফলো করে বিক্রি করতে পারলে মাসে ৫০ হাজার বা তার ও বেশি ইনকাম করা সম্ভব।

কোচিং বা টিউশনি করে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
আমাদের আসেপাশে অনেক ছাত্র-ছাত্রী আছে যারা কেবল বিভিন্ন বিষয়ে টিউশন পড়িয়ে কিংবা কোচিং পড়িয়েই মাসে ৫০ হাজার বা তা ও অধিক টাকা আয় করে থাকে। বিষেশ করে আমাদের রাজধানী ঢাকায় এমন অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী রয়েছেন যারা এই মাধ্যমে মাসে হাজার থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করে থাকে। কেননা সেখানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অনেক বেশি ডিমান্ড রয়েছে।

সেটিকে কাজে লাগিয়েই কিছু কিছু জায়গায় টিউশনি পাওয়া বেশ সহজ। এছাড়াও অন্যান্য শহর গুলোতেও অনেক কোচিং বা প্রাইভেট রয়েছে যেখানে প্রায় নিয়মিত টিউটর প্রয়োজন হয়। আপনি যদি একজন শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন এবং আপনার যদি নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে বিশেষ দক্ষতা থাকে তাহলে সেটিকে ব্যবহার করে আপনিও টিউশনির মাধ্যমে মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
মাসে ৫০ হাজার টাকা আয়ের অফলাইন মাধ্যম
ফটোগ্রাফি বা ভিডিও গ্রাফি করে মাসে হাজার টাকা ইনকাম করা
আপনি যদি ছবি তোলা বা ভিডিও গ্রাফিতে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে এই প্রোফেশন আপনার জন্য উপযুক্ত হতে পারে। এখন বিভিন্ন প্রোগ্রাম যেমন বিয়ে, জন্মদিন, গেট টুগেদার ইত্যাদি ক্ষেত্রে একজন দক্ষ ফটোগ্রাফারের একান্ত প্রয়োজন দেখা যায়। বর্তমান চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে অনেক ব্যক্তি ফটো গ্রাফির প্রোফেশনকে বেঁছে নেয়। এবং এর চাহিদা বেশি হওয়ার পাশাপাশি একটি ভালো মানের অর্থ উপার্জনের বিষয়টিও নিশ্চিত থাকে।

একজন ভালো ফটোগ্রাফারের ক্ষেত্রে দেখা যায় প্রতিমাসেই অনেক কয়েকটি প্রোজেক্ট থাকে। যেখান থেকে মাসে ৫০ হাজারেরও বেশি আয় চলে আসে। দিন দিন এই কাজের চাহিদা আরো লাভজনকতার সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেননা আগে মানুষকে শুধু বিয়ের অনুষ্ঠানেই এসবের আয়োজন করতে দেখা যেত এবং তখন মানও ওতো ভালো ছিলো না। কিন্তু বর্তমানের চিত্র বিপরীত। কাজেই এটির মাধ্যমে আপনিও মাসে হাজার টাকা ইনকাম করতে পারেন।

শেষ কথাঃ মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায়

মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায় হিসেবে অনলাইন ও অফলাইন দুইটি মাধ্যম নিয়েই আমরা উপরে আলোচনা করেছি। উল্লেখিত এই উপায় গুলো একেক জনের ক্ষেত্রে একেক রকম ফলাফল নিয়ে আসতে পারে। কেননা এগুলো সবই মানুষের দক্ষতা ও যোগ্যতার উপর নির্ভর করে। আবার কে কতটুকু পরিশ্রম করলো এবং কতটুকু ন্যায়ের সাথে করলো সেটিও বিবেচনার বিষয়। 

তাই অবশ্যই এসকল দিক বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত না নেওয়া উচিত। অঝথায় অন্যের দেখে আবেগের বশে বা নিজের পটেনশিয়ালিটি মেজার না করে কখনোই কোনো প্রোফেশন বাছাই করা উচিত না। এতে লাভের চেয়ে ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি থাকে। আশা করি আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি উপকৃত হয়েছেন। ধন্যবাদ!   




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url