বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার বিভিন্ন দিক নির্দেশনা

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার বিভিন্ন দিক নির্দেশনা নিয়ে আমাদের মধ্যে বিভিন্ন ধরণের মতভেদ দেখা যায়। আজকের আর্টিকেলে আমরা সেই সকল দিক ব্যাখ্যা করার মাধ্যমে সঠিক পথ বেঁছে নেওয়ার চেষ্টা করবো।

মূলত ভুল দিক নির্দেশনা বা পড়ার ধরণ ভুল হওয়ার কারণে অনেক শিক্ষার্থী কাঙ্ক্ষিত ফল অর্জনে ব্যর্থ হয়। তাই আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা আপনার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু দিক তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

পেজ সূচিপত্রঃ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার বিভিন্ন দিক নির্দেশনা 

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরুর সঠিক সময় কখন??

সাধারণত একজন শিক্ষার্থীর এইচ এস সি বা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পরেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কার্যপ্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু আসল অর্থে ইন্টার জীবন থেকেই এই প্রস্তুতি শুরু হওয়া প্রয়োজন। শুধু অ্যাডমিশনের ৩/৪ মাসের প্রস্তুতি থেকে নিজের স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়াটা একটু কঠিনই বটে।

স্টুডেন্ট ভেদে একেক জনের পড়াশুনার ক্রাইটেরিয়া বা ধরণ ভিন্ন হয়। যার কারণে সকলের পড়াশুনার ধরণ বা কোনো বিষয় আয়ত্তে নেওয়া ক্ষমতা এক হয়না। কেউ হয়ত কোনো বিষয় সহজেই আয়ত্ত করতে পারে ঠিক তেমনি কেউ কেউ আছে যার নতুন বা জটিল কোনো বিষয় বুঝতে কিছুটা সময় দরকার হয়।

কিন্তু উভয় ধরনের শিক্ষার্থীর জন্যই কলেজ জীবনের শুরু থেকে একটু একটু করে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া উত্তম। এর ফলে অ্যাডমিশন টাইমে কোনো বিষয় একেবারে নতুন মনে হবে না বরং আগেও পড়ে রাখার ফলে পরের বার পড়ার সময় বিষয়গুলো তুলনামূলক সহজ মনে হবে এবং দ্রুত সামনে আগানো যাবে। 

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রে এইচ এস সি পরীক্ষা কতটা গুরুত্বপূর্ণ??

শিক্ষাজীবনের শেষ বোর্ড এক্সাম হলো এইচ এস সি এক্সাম। কাজেই বেশ গুরুত্ব বহন করে থাকে এটি। কেননা এই পরিক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করেই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়। যার কারণে নির্দিষ্ট কোনো সাবজেক্টে কাঙ্ক্ষিত নম্বর উঠাতে না পারলে অনেকে তাদের পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ারই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। যা অত্যন্ত দুঃখজনক।

সেই বিবেচনায় এইচ এস সি পরীক্ষাকে ভর্তি যুদ্ধে অংশগ্রহণের প্রথম ধাপ বলাই যায়। এজন্য স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার কথা মাথাই রেখে এইচ এস সি পরীক্ষার সকল প্রস্তুতি নিশ্চিত করা উচিত। আবার এইচ এস সি পরীক্ষার সময়েই সকল বেসিক জিনিস ভালো মতো শিখে নেওয়া জরুরি কেননা এগুলো থেকেই বিভিন্ন রকমের ট্রিকি কোয়েশ্চিন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে থাকে।

এইচ এস সি এর এই অল্প সময়ে শিক্ষার্থীদের অনেক পড়া কমপ্লিট করতে হয় বলে তাদের মধ্যে দ্রুত পড়া কমপ্লিটের একটা আলাদা দক্ষতা তৈরি হয়। যা অ্যাডমিশন টাইমে পড়ার ফ্লো বজাই রাখতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই জন্য কোনো শিক্ষার্থী যদি এইচ এস সি এর সময়কে ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারে তাহলে তা নিঃসন্দেহে তাকে ভর্তি পরীক্ষায় অন্যদের থেকে কয়েকগুণ আগিয়ে রাখবে। 

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার সময় বিভাগ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত কিনা

একজন শিক্ষার্থী নবম শ্রেণিতে মানবিক,বাণিজ্য বা বিজ্ঞান যেকোনো একটি বিভাগ তার স্বপ্ন বা ইচ্ছা অনুযায়ী বেঁছে নেয়। কিন্তু পরবর্তিতে নানান কারণ বশত কলেজে উঠে বিভাগ পরিবর্তনের প্রয়োজন হতে পারে। ঠিক একই ভাবে ভর্তি পরীক্ষার সময়েও এমন সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে। কেননা পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে তাল মিলাতে অনেক সময় অনেক রকম সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সেই দৃষ্টিকোণ থেকেই অ্যাডমিশন টাইমে বিভাগ পরিবর্তন খুব স্বাভাবিক বিষয়।

অনেকেই দুই বছর বা চার বছর এক বিভাগে পড়াশুনা করে অ্যাডমিশনের সময়ে অন্য বিভাগে স্থানান্তর হতে ভয় পায়। কিন্তু বিভিন্ন কারণ যেমন এইচ এস সি তে কাঙ্ক্ষিত নাম্বার না থাকায় বা অসুস্থতার জন্য বিভাগ পরিবর্তন করা ছাড়া কোনো উপায় থাকে না। আবার অনেকের নির্দিষ্ট কোনো প্রফেশনের প্রতি ভালোলাগা জন্মাতে পারে। সুতরাং সেই ক্ষেত্রেও বিভাগ পরিবর্তনের প্রয়োজন পড়ে।

কাজেই কারণ যেটাই হোক না কেনো এসময় বেশি প্যানিক না হয়ে ঠাণ্ডা মাথায় ভেবে চিন্তে বা বড়দের কারো সাহায্য নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে নেওয়া উচিত। কেননা অ্যাডমিশনের সময়সীমা খুবই অল্প হয়ে থাকে। আর এই অল্প সময়ের মধ্যেই এক বিভাগ থেকে অন্য বিভাগে এসে সেই বিভাগের পড়া প্রথম অবস্থায় জটিল মনে হয়। এজন্য অনেক বেশি পরিশ্রমের প্রয়োজন যার কারণে সময়ের কথাটা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।

আরও পড়ুনঃ অ্যাডমিশনে মানবিক বিভাগের জন্য কী কী বিষয় গুরুত্বপূর্ণ

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতিতে প্রাইভেট নাকি হোম টিউটর??

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতিতে সকল স্টুডেন্টের জন্য একই রকম নিয়ম প্রযোজ্য নয়। এর কারণ আমরা শুরুতেই জেনেছি যে, একেক জনের ক্রাইটেরিয়া একেক রকম। আর তাই কারো ক্ষেত্রে পড়া তৈরির জন্য প্রাইভেট উপযুক্ত জায়গা হলেও অনেকের ক্ষেত্রে আবার তা উপযুক্ত নাও হতে পারে। কারণ অনেকেই আছে যারা অতিরিক্ত মানুষের মাঝে ভালো মতো পড়া বুঝতে পারে না কিংবা নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হয়। তাদের জন্য বাসায় সঠিক টিউটরের প্রয়োজন হয়।

একইভাবে অনেক স্টুডেন্টের জন্য বাসার চেয়ে বাইরের পরিবেশ বেশি উপযুক্ত। কেননা সেখানে অনেক জন থাকায় কম্পিটিশনের একটা বিশাল সুযোগ থাকে। বাসায় একা পড়ার ফলে খুব স্বভাবতই অন্যদের সাথে কম্পিটিশনের সেই সুযোগটা পাওয়া যায়না। যার ফলে অন্যদের পড়ার সাথে নিজের পড়ার গতি যাচাই বাছাই করা হয়না। আবার এতে অনেক স্টুডেন্ট পড়ার গতি দ্রুত করতে না পেরে সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে।

সুতরাং প্রয়োজন বুঝে সঠিক দিকটি নির্বাচন করা জরুরী। যেহেতু একটি ভালো প্রাইভেট বা টিউটর এই অ্যাডমিশন যাত্রাই গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রাখে তাই এগুলা নির্বাচনে অবশ্যই সঠিক পথ অবলম্বন করতে হবে। এগুলো দিক বিবেচনা না করেই কোনো শিক্ষার্থীর জন্য যদি ভুল পন্থা অবলম্বন করা হয় তাহলে তা নিমিষেই তার স্বপ্নকে ভেঙে চুরমার করে দিতে পারে।

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার সময় সঠিক মেন্টর ও ভালো সহপাঠীর ভূমিকা

"মেন্টর" অর্থই বিজ্ঞ পরামর্শদাতা। অর্থাৎ একজন মেন্টর হবে সেই ব্যক্তি যে নিজে সঠিক জ্ঞান সম্পন্ন এবং অভিজ্ঞ মানুষ। যেনো তার কাছ থেকে একজন শিক্ষার্থী সঠিক ও নির্ভুল দিক নির্দেশনা পেয়ে থাকে। যেকোনো খারাপ পরিস্থিতিতে একজন মেন্টর তার অধিনস্তকে সঠিক পথে পরিচালিত করার ক্ষমতা রাখে। যেহেতু অ্যাডমিশন একটি গুরুত্বপুর্ণ এবং ক্রিটিক্যাল একটা সময় তাই এসময় সঠিক পথ দেখাতে একজন মেন্টর খুবই প্রয়োজন।

একজন ভালো সহপাঠী সবসময় নতুন জ্ঞান অর্জনে উৎসাহ-উদ্দীপনার খুবই ভালো একটা উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। বিশেষ করে পড়াশুনার ক্ষেত্রে যদি আশেপাশের সঙ্গী সৎ, মেধাবী ও উদ্যমী হয়ে থাকে তাহলে তাকে দেখে অন্যরাও আগ্রহ খুঁজে পায়। আবার কিছু জটিল সমস্যার সমাধান খুঁজে না পেলে তাদের সহায়তায় সেই সমস্যা দূর করা সহজ হয়। কিন্তু সহপাঠী যদি এর বিপরীত হয় তাহলে তার কারণে নিজেও পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়।

সুতরাং একজন ভালো মেন্টর ও ভালো সহপাঠী অ্যাডমিশন যাত্রাকে সহজ করতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম। একইভাবে মেন্টর নির্বাচনে ভুল করলে এবং ভুল মানুষকে সঙ্গী বানালে তা অনেক বড় ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। আবার একাধিক ব্যক্তিকে মেন্টর না বানিয়ে যোগ্য একজনের অধীনে থেকে তার উপদেশ গ্রহণ করা বেশি যুক্তিসঙ্গত। 

আরও পড়ুন: এডমিশনে বাণিজ্য বিভাগের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা। 

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার সময় পড়া তৈরির কিছু কৌশল

আমরা আগেই যেহেতু জেনেছি যে, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি অনেক কম সময়ের হয়ে থাকে। যার কারণে উক্ত সময়কে সঠিক ভাবে কাজে লাগানোর দরকার হয়। তাই এসময় ওঝোতা অতিরিক্ত কিংবা কম গুরুত্বপুর্ণ বিষয় পড়ে সময় নষ্ট করা উচিত না। যেসকল বিষয়ে বিগত বছরে প্রশ্ন এসেছে কিংবা যেগুলা সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী গুরুত্বপুর্ণ যেগুলোই ভালো ভাবে চর্চা করতে হবে।

অনেকেই আছে অ্যাডমিশনকে কেন্দ্র করে প্রয়োজনীয় অপ্রয়োজনীয় সকল টপিকের পড়া পড়তে শুরু করে দেয় যার ফলে অতিরিক্ত সময় ব্যয় হয়। যা মোটেও উচিত নয়। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ ও প্রয়োজনীয় টপিকের উপরেই প্র্যাকটিস করা জরুরি। সেগুলোর উপর বেশি বেশি পরীক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে আরও ক্লিয়ার ধারণা অর্জন করতে হবে। একজন স্টুডেন্টের উচিত প্রথমেই নিজের দুর্বলতার দিক গুলো বের করে সে অনুযায়ী  প্র্যাকটিস করা।

অ্যাডমিশনের শেষের দিকে কোনো ধরনের নতুন টপিক ধরা উচিত নয়। কেননা শেষের দিকের সময়ে পূর্বের পড়া টপিক গুলোই আরো জোর দিয়ে রিভিশন করা জরুরি এতে ভুলে যাওয়া জিনিস আবার ঝালাই হয়ে যাবে।কিন্তু নতুন করে কোনো টপিক শুরু করলে দেখা যাবে সেটা শেষ করার পর্যাপ্ত সময় নাই কিংবা শেষ করতে পারলেও প্র্যাকটিসের সময় থাকে না। আবার আগের টপিকও ঠিক মতো রিভিশন দেওয়া হয়না।

আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা রাত জেগে পড়তে অভ্যস্ত আবার অনেকেই আছে ভোরে উঠে পড়ে। যার কাছে যেটা সুবিধাজনক সেটা করাই ভালো। কিন্তু রাতের বেলা পড়ার চেয়ে ভোরের পড়া বেশি কার্যকরী এবং দীর্ঘস্থায়ী। কেননা ভোরে ঘুম থেকে উঠে আমাদের মস্তিষ্ক ফ্রেশ থাকে এবং দ্রুত পড়া হয়। আবার সারাদিন অনেক সময় ও পাওয়া যায়। এজন্য চেষ্টা করা উচিত রাতে ঘুমিয়ে ভোরবেলা উঠে পড়তে বসা। 

আরও পড়ুন: এ্যাডমিশনে বিজ্ঞান বিভাগের জন্য প্রয়োজনীয় ৫ টি বিষয়।

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার সময় শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার সময়টা অত্যন্ত নাজুক একটা সময়। এই সময়কে কেন্দ্র করে ছাত্রছাত্রীরা নানা রকম চাপের মধ্যে থাকে। যার ফলে অনেকে শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে যায়। দেখা যায় অনেকে নিজের শরীরের দিকে কোনো খেয়াল রাখে না। আবার পড়ার অত্যাধিক চাপে, ভয়ে কিংবা আশানুরূপ লক্ষ্য অর্জন করতে না পারায় অনেকে হতাশায় ভুগে। যার ফলে মূল পরীক্ষায় খারাপ একটা প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।

তাই জন্য এই সময় নিজের শরীর ও মন ভালো রাখা খুব জরুরি। শুধু পড়াশুনায় ফোকাস দিয়ে চললেই হবে না। দেখা যাবে পড়াশুনার সকল প্রস্তুতি ভালোভাবে নিলেও শেষে যেয়ে শারীরিক অসুস্থতার কারণে সব মাটি হয়ে যাবে। আবার অত্যাধিক হতাশার কারণে প্রথমে ভালো অবস্থানে থাকলেও শেষের দিকে দেখা যাবে জানা জিনিসও মাথায় থাকছে না। অনেকেই হতাশাগ্রস্থ হয়ে মূল পরীক্ষায় জানা জিনিস মিস করে আসে।

এই শারীরিক ও মানসিক অবস্থা ভালো রাখার জন্য খুব বেশি সচেতন হতে হবে। কোনো প্রকার অনিয়মের অভ্যাস থাকলেও অন্তত এই কয়েকমাস সেটা পরিহার করে নিয়ম মাফিক চলার চেষ্টা করতে হবে। প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর অভ্যাস অপরিহার্য করতে হবে। ঠিক মতো খাওয়া দাওয়ার দিকে নজর রাখতে হবে যেন শরীর দুর্বল না হয়ে যায়। মানসিক শান্তির জন্য দিনে কিছু সময় মেডিটেশন করা ভালো।

সর্বোপরি সবাইকে নিজ নিজ সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রতিনিয়ত দোয়া / প্রার্থনা করতে হবে। বড়দেরকে সাথে ভালো ব্যবহার করে তাদের থেকে দোয়া / আশীর্বাদ নিতে হবে। সবসময় নেক মানসিকতা নিয়ে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। বিশ্বাস রাখতে হবে সৃষ্টিকর্তা আমাদের জন্য সব সময় মঙ্গলজনক বিষয়বস্তু নির্ধারণ করে রেখেছেন। কঠোর পরিশ্রম দ্বারা আমাদেরকে তা অর্জন করে নিতে হবে।

পরিশেষে -বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার বিভিন্ন দিক নির্দেশনা 

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার বিভিন্ন দিক নির্দেশনা নিয়ে নানান তথ্য আমরা উপরে আলোচনা করলাম। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা আমাদের ছোটবেলার ইচ্ছা বা স্বপ্ন পূরণের এক প্রকার মাধ্যম। তাই এই সময়কে যেনো শিক্ষার্থীরা সঠিক ভাবে কাজে লাগাতে পারে সেই কথা মাথায় রেখেই আজকের আর্টিকেলটি লিখা। আশা করি এটি পড়ার মাধ্যমে অনেকেই বিভিন্ন বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করার পাশাপাশি বিভিন্ন নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। ধন্যবাদ!





এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url