সাদা তিল খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
সাদা তিল খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা কী তা সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে আজকের
আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের
সাথেই থাকুন।
একাধিক খনিজ ও ভিটামিনে সমৃদ্ধ সাদা তিল সম্পর্কে অনেকেই অবগত নন। এটিতে আছে
নানান পুষ্টি উপাদান যা আমাদের দেহের বিভিন্ন উপকারে কাজ করে থাকে।
পেজ সুচীপত্রঃ সাদা তিল খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
সাদা তিল খাওয়ার সঠিক নিয়ম
সাদা তিল খাওয়ার সঠিক নিয়ম জানা জরুরী। কেননা এটির অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা
রয়েছে। তাই এটি নিয়ম মেনে সঠিক নিয়মে খেতে পারলে সর্বোচ্চ উপকারিতা নিশ্চিত করা
সম্ভব। চলুন তাহলে সাদা তিল খাওয়ার কয়েকটি সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
- সাদা তিল খাওয়ার আগে যদি ভিজিয়ে রাখা হয় তাহলে বেশ ভালো উপকারিতা পাওয়া যায়।কেননা ভিজিয়ে রাখা তিলের পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীর আরো সহজে গ্রহণ করতে পারে এবং হজমেও ক্ষেত্রেও তা বেশ সহজ হয়ে যায়। এজন্য সাদা তিল চার থেকে পাঁচ ঘন্টা বা রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালে উঠেও খাওয়া ভালো।
- তিল সঠিক সময় খাওয়ার ব্যাপারেও একটি দিক নির্দেশনা রয়েছে। সাধারণত সকাল কিভাবে বিকাল বেলা এটি খাওয়া উচিত। কেননা এই সময় এটি আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে শরীরে প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপাদনে সাহায্য করে থাকে। খালি পেটে কিংবা সকালে নাস্তার আগে এটি খেলে আমাদের শরীর তা ভালোভাবে শোষণ করতে পারে।
- তিল খালি খাওয়ার চেয়ে সাধারণত অন্যান্য খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়ায় ভালো। অন্যান্য খাবার বলতে দুধ বা মধুর সাথে এটি মিশিয়ে খাওয়া যায়। এর ফলে একদিকে যেমন এটির স্বাদ বৃদ্ধি পাবে তেমনি শরীরে পুষ্টি উপাদান আরো সহজে শোষিত হবে।
- অনেকেই তিলকে আয়ুর্বেদিক বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে থাকেন। কেননা আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে তিলকে অনেক সময় বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের উপায় হিসেবে গণ্য করা হয়। যেমন শরীরে শক্তি বৃদ্ধি, চুল ও ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করা ইত্যাদি। এটি আমাদের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে থাকে।
- কোন খাবারই অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়। ঠিক তেমনে সাদা তিল খাওয়ার ক্ষেত্রেও সঠিক পরিমাণ মেনে হওয়া উচিত। প্রতিদিন তিন থেকে চার গ্রাম বা এক থেকে দুই চা চামচ তিল খাওয়া যথেষ্ট।এর বেশি যদি খেয়ে ফেলেন তাহলে অনেক সময় হজমে সমস্যা বা ক্যালরি বেড়ে যাওয়ার মতো অসুবিধায় পড়তে পারেন।
সাদা তিল খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা
সাদা তিল খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে তা সম্পর্কে আমরা অনেকে অবগত
আছি। কিন্তু এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানা জরুরী। এটিতে শরীরের জন্য
প্রয়োজনীয় বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন, প্রোটিন, খনিজ,
ফাইবার, ফ্যাট ইত্যাদি বিদ্যমান। এটি আমাদের শরীরের বিভিন্ন
অংশের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে থাকে। এগুলো
সম্পর্কে আমরা এখন বিস্তারিত জানবো।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে থাকেঃ সাদা দিলে থাকা একটি উপাদান হচ্ছে
পটাশিয়াম যা আমাদের শরীরের রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও
এটিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুলো আমাদের রক্তনালীর প্রসারণ ঘটায় ও রক্তের
কোলেস্টোরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এটি আমাদের হরমোনের ভারসাম্য সঠিকভাবে
বজায় রাখতেও সাহায্য করে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে থাকে।
ক্যালসিয়াম সরবরাহ করতে সাহায্য করেঃ সাদা তিল ক্যালসিয়ামে ভরপুর একটি
উপাদান। যার ফলে এটি আমাদের হাড় মজবুত করে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে
সাহায্য করে। নিয়মিত সাদা তিল খেলে আমাদের হাড়ে ক্যালসিয়ামের স্তর বৃদ্ধি
পায়।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর ক্ষেত্রেঃ সাদা তিলে আছে মৌলিক ফ্যাট এবং বিভিন্ন
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা আমাদের হৃদরোগের বিভিন্ন ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। আমরা
আগেই জেনেছি সাদা তেল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে থাকে। আর উচ্চ রক্তচাপ
নিয়ন্ত্রণে থাকলে তা আমাদের হৃদরোগের বিভিন্ন ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে। সাদা
তিলে থাকা ফাইবার রক্তে শর্করার সঠিক স্তর বজায় রেখেও হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে
সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে থাকেঃ সাদা তিলে থাকা ফাইবার,
পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও
সাহায্য করে থাকে। যেমন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, বিপাকীয় উন্নতি, ইনসুলিনের
কার্যকারিতা বৃদ্ধি ইত্যাদি কাজ করে থাকে। তাই সঠিক নিয়মে ও সঠিক পরিমাণে সাদা
তিল খেতে পারলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা উপকৃত হবেন।
চর্বি কমাতে সাহায্য করেঃ সাদা তিলে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থকে যা
আমাদের শরীরের খারাপ কোলেস্টরেল কমিয়ে ভালো কোলেস্টরেল বাড়াতে সাহায্য করে।
এছাড়াও এটিতে থাকা ফাইবার আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে ধীর রেখে দীর্ঘ সময়ের জন্য
তৃপ্তি অনুভব করায়। ফলে আমরা অতিরিক্ত খাবার খাওয়া থেকে নিজেদের বিরত রাখতে
পারি। এভাবে আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাও সহজ হয়ে যায়।
গর্ভাবস্থায় তিল খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় তিল খাওয়ার উপকারিতা অনেক রয়েছে। মা ও শিশু উভয়ের
স্বাস্থ্যের জন্য এটি উপকারী উপাদান হিসেবে পরিচিত। তিলে থাকা প্রোটিন,
ফ্যাট, ক্যালসিয়াম, আয়রন, মিনারেল ইত্যাদি উপাদান গর্ভবতী
মায়েদের পুষ্টি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এগুলো হরমোনের ভারসাম্য
বজায় রাখতেও সহায়ক। গর্ভাবস্থায় অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি দূর করতে
তিল সাহায্য করে থাকে। তিলে থাকা ফাইবার গর্ব অবস্থায় পাচন
প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে সাহায্য করে।
এছাড়াও তিলে থাকা আয়রন মা ও শিশু উভয়ের রক্ত তৈরিতে
সহায়ক। গর্ভাবস্থায় অ্যানিমিয়ার ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে এটি
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তিলে থাকা ভিটামিন ই তো ও প্রজনন
স্বাস্থ্য রক্ষা করতে সহায়ক। এটির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গর্ভবতী মায়েদের
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে।গর্ভাবস্থায় মায়েদের হাড়ের
সুস্বাস্থ্য বজায় রাখা জরুরী যা তিলের মাধ্যমে সম্ভব।
গর্ভাবস্থায়ী তিল খাওয়ার নিয়ম হলো দিনে ১ থেকে ২ চামচ। এর
চেয়ে বেশি না খাওয়াই ভালো। এই সময় তিল চাইলে কাঁচাও খাওয়া
যেতে আবার ভেজে কিংবা ভিজিয়ে রেখেও খাওয়া যাবে। তিল ভেজানোর
ফলে এটির স্বাদ এবং পুষ্টি গুণাগুণ আরও বৃদ্ধি পায়। আবার বিভিন্ন
খাবারের সাথে মিশিয়েও খাওয়া যায় যেমন সালাদ, দই বা রুটির
মধ্যে। নাস্তা হিসেবে তিলের শরবত খাওয়াও উপকারী।
চুল ও ত্বকের উপকারে সাদা তিল
চুল ও ত্বকের উপকারে সাদা তিল যে কাজ করে সেটি কি জানেন? এটিতে থাকা
ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন ই, ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের
চুল ও ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। এটি প্রোটিন ও মিনারেলসের ভালো উৎস। সাদা তিলের
তেল আমাদের চুলের আদ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে, চুলকে কোমল ও মসৃণ করে।
এটিতে থাকা পুষ্টি উপাদান চুলকে শক্তিশালী করে চুলের বৃদ্ধি ঘটায়।
এছাড়াও তিলে থাকা ফাটি অ্যাসিড চুল পড়া রোধে কাজ করে থাকে। সাদা তিলের তেল
ত্বকে ব্রণ ও ব্রণের দাগ কমাতে সাহায্য করে। ত্বককে আদ্র রাখে ফলে ত্বক কোমল ও
উজ্জ্বল হয়। সাদা তিল যেহেতু প্রোটিন, মিনারেলস ও ভিটামিনের ভালো উৎস তাই এটি
ত্বকের ডেড সেল রোজেনারেশন করতে ও সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে কাজ করে । তাই সাদা
তিলের তেল, মাস্ক বা স্ক্রাব ত্বকের যত্নে ব্যবহার করতে পারেন।
সাদা তিল ও কালো তিলের পার্থক্য
সাদা তিল ও কালো তিলের পার্থক্য তাদের পুষ্টিগুণ, ব্যবহার এবং স্বাদের
ওপর প্রভাব ফেলে। অর্থাৎ রং, আকার, স্বাদ ও পুষ্টি
গুণাগুণ বিবেচনায় সাদা তিল ও কালো তিলের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে।
তাই এগুলো সম্পর্কে আমাদের সঠিকটি জেনে রাখা ভালো। সাদা
তিল সাধারণত গোলাকার এবং ছোট হয়ে থাকে। এদের রং সাদা কিংবা হালকা
হলুদ হয়। এবং বাইরের আবরণ বেশ পাতলা ও চকচকে হয়।
অন্যদিকে কালো রঙের তিল সাদা তিলের তুলনায় কিছুটা শক্ত এবং বাইরের আবরণ একটু
মোটা।কালো তিলের স্বাদ কিছুটা তিক্ত হয়ে থাকে। এটি ভাজা খাবার বা
তরকারিতে বেশি ব্যবহার হতে দেখা যায়।অন্যদিকে সাদা তিল স্বাদে
মিষ্টি ও হালকা হওয়ায় এটি বেশিরভাগ সময় মিষ্টান্ন জাতীয় খাবারের
ব্যবহার হতে দেখা যায়। উভয় প্রকার তিলেই নানান প্রকার পুষ্টি উপাদান
রয়েছে। কিন্তু সাদা তিলে প্রোটিন, ফ্যাট এবং ক্যালসিয়ামের মাত্রা
বেশি।
কালো তিলে আয়রনের পরিমাণ বেশি থাকে। কালো তিল চুল ও ত্বকের স্বাস্থ্যের
জন্য বেশ উপকারী।আর সাদা তিল দেহের হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষভাবে
সহায়ক এবং পাচনশক্তির উন্নতি করতে উপযোগী। ব্যবহারের ক্ষেত্রে যে
সকল খাবার হালকা এবং মিষ্টি সেখানে সাদা তিল উপযুক্ত।
কালো তিল খাওয়ার উপকারিতা
কালো তিল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কেও অনেকের মনে বিভিন্ন প্রশ্ন এসে
থাকে। কেননা উভয় প্রকার তিলই বেশ পুষ্টি
গুণাগুণ সমৃদ্ধ। এতক্ষণ যেহেতু সাদা তিলের বিভিন্ন উপকারিতা
সম্পর্কে জানা হলো এখন তাহলে কালো তিল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া
যাক। শারীরিক বৃদ্ধি বাড়াতে, রোগা থেকে স্বাস্থ্যবান
হতে কিংবা মেদ কমাতে কালো তিল কাজ করে থাকে। দুর্বল দাঁত
মজবুত করার ক্ষেত্রেও এটি উপকারী।
আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে সর্দি-কাশির সমস্যা খুব বেশি দেখা
যায়। এ সকল সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কালো তিলের তেল অনেক বেশি
কার্যকর হিসেবে বিবেচিত। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যাদের অকালে চুল পেকে
গেছে বা দুর্বল হয়ে গেছে। তাদের এই সমস্যা সমাধানের জন্য কালো তিলের তেল
প্রয়োজন। কেননা এই তেল দ্রুত চুল গজাতে সাহায্য করে
থাকে। এছাড়াও শরীরের রং উজ্জ্বল করতে কালো তিলের তেল উপকারী।
মেয়েদের মাসিকে সমস্যা থাকলে এই তিল দুই থেকে তিন চা চামচ পিষে
নিয়ে এক গ্লাস পানিতে ফুটিয়ে পান করলে উক্ত সমস্যার থেকে রেহাই
পাওয়া সম্ভব। এছাড়াও কালো তিল ক্যান্সার বিরোধী বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ
হওয়ায় এটি ক্যান্সার রোগীদের জন্যও উপকারী। গবেষণায় দেখা
গেছে তিল ফুসফুসের ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার, প্রোস্টেট ক্যান্সার, কোলন
ক্যান্সার, লিভার ক্যান্সার ইত্যাদি প্রতিরোধে সহায়ক।
সাদা তিল খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কিত কিছু প্রশ্নোত্তর
প্রতিদিন কতটুকু সাদা তিল খাওয়া উচিত?
উঃ প্রতিদিন প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য চার থেকে পাঁচটা চামচ তিল খাওয়ায়
যথেষ্ট।
কাদের তিল খাওয়া উচিত নয়?
উঃ তিলের বিভিন্ন উপকারিতা থাকলেও কোন অপারেশনের আগে ডাক্তারের বিশেষ
পরামর্শ ছাড়া তিল খাওয়া উচিত নয়।
খালি পেটে তিল খেলে কি হয়?
উঃ খালি পেটে তিল খেলে হজম শক্তি উন্নত হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি
পাওয়া যায়।
তিল খেলে কি পেটের সমস্যা হয়??
উঃ তিলে থাকা উপাদান সাধারণত আমাদের শরীরের বিভিন্ন উপকারে কাজ করে
থাকে। কিন্তু বিভিন্ন মানুষের শারীরিক বৈশিষ্ট্য ভিন্ন হওয়ার
কারণে কিছু কিছু সময় অনেকে তিল খেয়ে পেটের সমস্যায় ভুগতে পারে। কিংবা
অনেকের ক্ষেত্রে প্রথম প্রথম তিল খাওয়ার সময় পেটে গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে
পারে।
তিল খেলে কি ওজন কমে?
উঃ হ্যাঁ, সঠিক নিয়মে তিল খেতে পারলে ওজন কমানো সম্ভব। কেননা
তিলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা আমাদের অতিরিক্ত ক্ষুধাকে দূর করতে
সক্ষম।
তিল খেলে কি এলার্জি হয়??
উঃ অনেকের ক্ষেত্রে তিল খাওয়ার পর এলার্জি জনিত সমস্যা সৃষ্টি হতে দেখা
গেছে। তাই জন্য যাদের এলার্জির বিশেষ সমস্যা রয়েছে তাদেরকে তিল খাওয়ার
আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নেওয়া উত্তম।
তিল খেলে কি ব্রণের সমস্যা দূর হয়??
উঃ হ্যাঁ দিলে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান আমাদের ত্বকের জন্য
উপকারী। এটি ব্রণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম।
শেষ কথাঃ সাদা তিল খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
সাদা তিল খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে আমরা উপরে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরার
চেষ্টা করেছি। আশা করি সম্পুর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা আপনাদের
প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পেরেছেন। আজকের আর্টিকেলটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে
অবশ্যই অন্যদের সাথে শেয়ার করুন এবং কোনো বিষয়ে জানার থাকলে নিচে কমেন্ট
সেকশনে তা কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ!
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url