অনলাইনে টাকা ইনকাম করার উপায়- পেমেন্ট মাধ্যম বিকাশ

 
অনলাইনে ইনকাম করার উপায় এবং সেই পেমেন্ট বিকাশের মাধ্যমে কিভাবে নিবেন তা নিয়ে আজকের আর্টিকেলে থাকছে বিস্তারিত আলোচনা। কেননা বর্তমানে অনলাইনে ইনকামের বিষয়টি বেশ পরিচিত। আমাদের আশেপাশে অনেকেই এটির সাথে জড়িত।
অনলাইনে টাকা ইনকাম করার উপায়

কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেরই এই বিষয়ে সঠিক জ্ঞান নেই। কীভাবে বর্তমান সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে অনলাইনে বৈধ উপায়ে ইনকাম করা যায় সেই ব্যাপারে আমাদের সঠিক তথ্য জানা প্রয়োজন। 

পেজ সূচীপত্রঃ অনলাইনে টাকা ইনকাম করার উপায় বিকাশ পেমেন্ট

অনলাইনে টাকা ইনকাম করার উপায়

অনলাইনে টাকা ইনকাম করার উপায় অনেক রয়েছে। কিন্তু এই অনলাইন মাধ্যম থেকে আয় করার জন্য সবচেয়ে বেশি যে জিনিস গুলো প্রয়োজন তা হলো একটি বা একাধিক বিষয়ের উপর দক্ষতা এবং দৃঢ় মনোবল ও ধৈর্য শক্তি। কেননা কোন বিষয়ে দক্ষতা না থাকলে অনলাইন থেকে সহজে ইনকাম করা সম্ভব না। আবার দক্ষতা থাকলেও যদি ধৈর্যশক্তি না থাকে তাহলেও সে দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে বেশিদূর পৌঁছানো যাবে না। 

কাজেই আপনার মধ্যে যে বিষয়ে দক্ষতা বা জ্ঞান রয়েছে তাকে কাজে লাগানোর মাধ্যমেই অনলাইন থেকে ইনকাম করা সম্ভব। আর কোন বিষয়ে যদি পূর্বে থাকে দক্ষতা বা জ্ঞান না থাকে তাহলে সঠিক মাধ্যম থেকে জ্ঞানার্জন করে নিতে পারলেও অনলাইন থেকে ইনকাম করা সম্ভব। কেননা বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তির উন্নতির কারণে আইটি বিষয়ক দক্ষ মানুষের চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলেছে। 

এবং অনেকেই এই বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে অন্যদের দক্ষ করে তোলার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। ফলে অনেকেই পূর্ব অভিজ্ঞতা ছাড়াই বিভিন্ন মাধ্যম থেকে নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ের উপর দক্ষতা অর্জন করে অনলাইন ইনকামের পথ বেছে নিচ্ছেন। নিচে আমরা অনলাইন থেকে ইনকাম করার বেশ কিছু মাধ্যম নিয়ে এখন আলোচনা করবো যেগুলোর পেমেন্টের জন্য মাধ্যম হিসেবে বিকাশ অ্যাকাউন্ট থাকলেই হবে।

অনলাইনে ফুডকার্টের মাধ্যমে ইনকামঃ আপনি চাইলে অনলাইনে ফুডের ব্যবসা করেন বিকাশে পেমেন্ট নিতে পারেন। এর জন্য প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনার। স্থান ও গ্রাহক বিবেচনায় সঠিক ফুড আইটেম নির্বাচন করতে হবে। অর্থাৎ আপনার একটি মেনু প্রস্তুত করতে হবে। এবং সেই গুলোতে ব্যবহৃত উপাদান যেনো মান সম্মত হয় সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এরপর আপনার কাজ অনলাইনে উপস্থাপনের মাধ্যমে তৈরি করতে হবে।

অর্থাৎ ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে প্রথম অবস্থায় পেজ খুলার মাধ্যমে তা মানুষের কাছে সহজেই পোঁছে দেয়া সম্ভব। কেননা এই পেজগুলোতে আপনার খাবারের ছবি বা ভিডিও ও বিভিন্ন অফার সম্পর্কে মানুষকে জানানো হবে। যেহেতু বর্তমানে ফেসবুক অত্যন্ত জনপ্রিয় সোশাল নেটওয়ার্ক তাই এখানে মানুষকে আপনার ব্যবসা সম্পর্কে খুব সহজেই জানানো সম্ভব। এখানে অনেক মানুষের মধ্যে আপনার নতুন ব্যবসার দ্রুত প্রচার হবে।

এবং আগ্রহী ব্যক্তিরা আপনার কাছে আসবেন। পেজ গুলো থেকে মানুষ যেন সহজেই ফুড আইটেম দেখে অর্ডার কনফার্ম করতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। এবং পেমেন্ট মাধ্যম হিসেবে একটি বিকাশ একাউন্ট প্রয়োজন হবে। বিকাশের মাধ্যমে QR কোড তৈরি করে সেটি সোশাল মিডিয়ায় যুক্ত করতে পারেন। নিয়মিত পেজে একটিভ থেকে বিভিন্ন আপডেট দেওয়ার মাধ্যমে অনলাইন থেকে ইনকাম করা সম্ভব।

অনলাইনে মেন্টরিং সেবা প্রদানঃ আপনি যদি কোনো বিষয়ে বিশেষ ভাবে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে সেই বিষয়ের উপর অনলাইনের মাধ্যমে মেন্টরিং সেবা প্রদান করে আয় করতে পারেন। এবং পেমেন্ট মাধ্যম হিসেবে বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করতে পারবেন। এটি শুরু করার জন্য প্রথমেই একটি প্লাটফর্ম নির্বাচন করে নিতে হবে। যেমন ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, জুম, লিংকন্ডিন  কিংবা একটি ওয়েবসাইট ইত্যাদি। 

এখানে সোশ্যাল মিডিয়া গুলোকে প্রচার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এবং ওয়েবসাইটে আপনি যে বিষয়ে দক্ষ কিংবা যেটিকে কেন্দ্র করে মেন্টরিং সেবা দেওয়ার কথা ভাবছেন সেগুলোর সকল বিষয়বস্তু যেমন টিউটোরিয়াল বা ব্লগ প্রকাশ করতে পারেন। মানুষ অর্থের বিনিময়ে এগুলো আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে দেখতে বা শিখতে পারবে। এভাবে আপনি মেন্টরিং সেবা শুরু করে বিকাশের মাধ্যমে অনলাইনে আয় করতে পারবেন। 

স্টক ফটোগ্রাফির মাধ্যমে অনলাইনে ইনকামঃ স্টক ফটোগ্রাফি বলতে এমন একটি মাধ্যম বা প্রক্রিয়াকে বোঝায় যেখানে ফটোগ্রাফাররা তাদের তোলা ছবি বা ভিডিও বিভিন্ন স্টক ফটোগ্রাফির পেজে বা ওয়েবসাইটে আপলোড করতে পারেন। এবং সেখান থেকে বিভিন্ন মানুষ তাদের প্রয়োজনে বা পছন্দ হলে সেগুলো ক্রয় করতে পারেন। যেমন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ডিজাইনার বা ব্লগার এসব ওয়েবসাইটে তাদের প্রয়োজনীয় ছবির খোঁজ করেন।

আপনি যদি একজন দক্ষ ফটোগ্রাফার হয়ে থাকেন তাহলে খুব সহজেই এই কাজটির মাধ্যমে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারেন। চাইলে ভালোমতো এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েও এই কাজ শুরু করা যায়। গুণগত ছবি তোলা থেকে শুরু করে ছবি এডিটিং এর বিভিন্ন নিয়ম কানুন সম্পর্কে জানতে হবে। বর্তমান বাজারে প্রয়োজন‌ আছে বা ট্রেন্ড চলছে এমন বিষয়ের উপর ফটোগ্রাফি করতে হবে। 

স্টক ফটোগ্রাফির বিভিন্ন সাইট যেমন Adobe Stock, Shutterstock, iStock ইত্যাদিতে রেজিস্ট্রেশন করে নিয়মমাফিক প্রতিনিয়ত আপনার তোলা ছবি আপলোড করতে হবে। এখান থেকে আপনার ছবি বিক্রি হলে আপনি নির্দিষ্ট পরিমাণে কমিশন পেয়ে থাকবেন। যদিও প্ল্যাটফর্ম ভেদে অর্থের পরিমাণ ভিন্ন ভিন্ন। এখানে বিভিন্ন প্লাটফর্ম রয়েছে যেগুলো থেকে বিকাশে পেমেন্ট নেওয়া সম্ভব।

ShopUp Reseller এর মাধ্যমে অনলাইন ইনকামঃ ShopUp Reseller হলো এমন একটি প্ল্যাটফর্ম বা প্রোগ্রাম যা মূলত বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। ছোট ব্যবসাগুলো বাড়ানোর জন্যই মনোযোগ এই প্রোগ্রামটি তৈরি করা হয়েছে। এখানে বিভিন্ন ধরনের পণ্য পুনঃ বিক্রয়ের সুযোগ দেওয়া হয়। এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করে এর তালিকাভুক্ত পণ্য গুলো ক্রয় করে বিক্রি করা যায়।

এই কাজটি করার জন্য প্রথমেই ShopUp এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। সেখানে আপনার ব্যবসার বিভিন্ন তথ্যের পাশাপাশি আপনার নাম, মোবাইল নাম্বার ইত্যাদি দিতে হবে। এভাবে রেজিস্ট্রেশন শেষ হলে সেখানের পণ্য তালিকা থেকে আপনি আপনার পছন্দের পণ্যগুলো নির্বাচন করতে পারবেন। এরপর উক্ত পণ্য গুলোর জন্য অর্ডার দিয়ে তা সংগ্রহ করতে হবে।
অনলাইনে টাকা ইনকাম করে বিকাশে পেমেন্ট নেওয়ার উওয়ায়

এরপর পণ্যগুলো নিকট আত্মীয় স্বজন, বন্ধুবান্ধব, সোশ্যাল মিডিয়া বা নিজস্ব দোকানের মাধ্যমে মার্কেটিং বা প্রচার করতে হবে। এবং সেগুলো বিক্রয়ের পর পেমেন্ট সংগ্রহ করা যাবে। ShopUp বিভিন্ন পেমেন্ট গেটওয়ে এবং বিকাশের মাধ্যমে সংগ্রহের সুযোগ প্রদান করে থাকে। অথবা আপনি যদি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন এবং ই-কমার্সের মাধ্যমে আয় করতে চান তাহলে এটি আপনার জন্য একটি সহজ ও লাভজনক মাধ্যম হতে পারে। 

Clipclap অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে ইনকামঃ এটি একটি মোবাইল অ্যাপ যা বিনোদনমূলক ভিডিও দেখার মাধ্যমে ব্যবহারকারীদেরকে আয় করার সুযোগ করে দেয়। এখানে ব্যবহারকারীরা ভিডিও দেখার পর পয়েন্ট অর্জন করে থাকে যা পরবর্তীতে নগদ টাকা বা রিওয়ার্ডে পরিণত হয়। ভিডিওগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ছোট এবং আকর্ষণীয় হয়ে থাকে। পাশাপাশি অনেক সময় গেম কিংবা কুইজ খেলার অপশনও দেখা যায়।

যেখান থেকে অতিরিক্ত পয়েন্ট অর্জন করার সুযোগ থাকে। আবার নতুন কোনো ব্যক্তিকে এই অ্যাপে ব্যবহারকারী হিসেবে যোগদান করার জন্য ইনভাইটেশন পাঠানোর মাধ্যমেও অতিরিক্ত পয়েন্ট অর্জন করা সম্ভব। পয়েন্টগুলো পরবর্তীতে নগদ অর্থে পরিণত হলে বিকাশ, নগদ কিংবা অন্যান্য পেমেন্ট মাধ্যমে সংগ্রহ করার সুযোগ থাকে। তবে এটি ব্যবহারের সময় সচেতন থাকা ও শর্তাবলী মনে রাখা উচিত।

Reward XP ব্যবহার করা অনলাইন ইনকামঃ Reward XP আরেকটি অনলাইন প্লাটফর্ম যেখানে ব্যবহার করি তা বিভিন্ন কার্যকলাপের মাধ্যমে অনলাইন থেকে আয় করে থাকেন। অর্থাৎ এখানেও বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে পয়েন্ট অর্জন করার সুযোগ থাকে এবং সেগুলো পরবর্তীতে নগদ টাকায় রূপান্তর হয়ে বিকাশ কিংবা অন্যান্য মাধ্যম থেকে সংগ্রহ করা যায়। এখানে ব্যবহারকারীরা গেম খেলে, ভিডিও দেখে পয়েন্ট অর্জন করতে পারেন।

এটি শুরু করার জন্য Reward XP এর অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে গিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এরপর সেখানে বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্যে নিজের পছন্দনীয় কার্যক্রম নির্বাচন করে সেগুলোতে অংশগ্রহণ করতে হবে। অনেক ব্যবহারকারীর কাছে এই প্লাটফর্মটি সহজে টাকা আয়ের মাধ্যম হলেও অনেকেই এদিকে বেশ সময় সাপেক্ষ বলে মনে করেন। যেহেতু এটি একটি অনলাইন প্লাটফর্ম তাই এটি ব্যবহার করার সময় অবশ্যই বিভিন্ন বিষয়ের মাথায় রাখার পাশাপাশি নিজের ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে সকলকে থাকতে হবে।

 আরো পড়ুনঃ টুইটার একাউন্ট খোলার নিয়ম ও অন্যান্য দিক

Shopify থেকে ইনকাম করার উপায়ঃ আরো একটি জনপ্রিয় অনলাইন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম হলো Shopify. এটি ব্যবসায়ীদেরকে খুব সহজেই অনলাইনে দোকান খোলা এবং পরিচালনা করার সুযোগ দিয়ে থাকে। এটি ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা পণ্য বিক্রি করে বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট সংগ্রহ করতে পারেন। এখানে নিজস্ব পণ্য তৈরি করে বিক্রি করার পাশাপাশি বিভিন্ন সরবরাহকারীদের নিকট থেকে পণ্য নিয়েও বিক্রি করার সুযোগ রয়েছে। 

এই কাজ শুরু করার জন্য Shopify এর ওয়েবসাইটে যে একটি অ্যাকাউন্ট ওপেন করা লাগবে। এরপর সেখানে আপনার দোকানের নাম, ঠিকানা এবং অন্যান্য প্রয়োজনে তথ্য দিন। আপনি যে পণ্যগুলো নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে চান সেগুলোর বিস্তারিত বর্ণনা অর্থাৎ মূল্য, বিবরণ, ছবি ইত্যাদি যুক্ত করুন। পেমেন্টের মাধ্যমে হিসেবে বিকাশ, PayPal বা অন্যান্য পেমেন্ট গেটওয়ে যুক্ত করার সুযোগ পাবেন। তবে এখান থেকে বিকাশে পেমেন্ট পাওয়ার জন্য কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়। 

যেহেতু এখানে সরাসরি বিকাশে পেমেন্ট পাওয়ার সংযোগ থাকেনা তাই জন্য বিভিন্ন তৃতীয় পক্ষের পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করা হয়। এরপর সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্যান্য মাধ্যম ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার পণ্যগুলোর প্রচার শুরু করুন। এর মাধ্যমে অর্ডার আসা শুরু হলে পণ্য বিতরণ ও গুণগত গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করুন। এটি একটি শক্তিশালী অনলাইন প্লাটফর্ম যেখান থেকে সঠিক কৌশল ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে একটি ভালো আয় করা সম্ভব।

ব্লগিং করে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার উপায় ব্লগিং হলো অনলাইনে লেখার একটি স্বতন্ত্র প্রক্রিয়া। এখানে একজন ব্যক্তি অথবা একাধিক ব্যক্তি মিলে নিয়মিত ভাবে লেখার প্রকাশ করে একটি শক্তিশালী ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারে। এখানে যে বিষয়গুলো সম্পর্কে লক লেখা হয় তা অবশ্যই রুচিসম্মত, জনপ্রিয়, প্রয়োজনীয় তথ্যবহূল এবং মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। আর এই ব্লগিং করে আয় করার অন্যতম পূর্ব শর্ত হলো ভালো রাইটার হওয়া। 

অর্থাৎ কোন বিষয় সম্পর্কে লেখার পূর্বে সেই বিষয়ের বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে তা সঠিকভাবে উপস্থাপন করার যোগ্যতা আপনার মধ্যে থাকতে হবে। সঠিক ও সুন্দরভাবে কনটেন্ট লেখার মাধ্যমে আপনি নিজের ওয়েবসাইট থেকেও ইনকাম করতে পারবেন। আবার চাইলে অন্যদের ওয়েবসাইটে কনটেন্ট লিখে বিকাশের মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। ধারাবাহিকভাবে মান সম্মান লেখার মাধ্যমে ব্লগিং করে প্রতি মাসে ভালো পরিমাণে অর্থ আয় করা সম্ভব।

Cashzine ব্যবহার করে অনলাইন ইনকামঃ‌ Cashzine একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন যেখানে নিউজ কিংবা বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট পড়ার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা আয় করার একটি সুযোগ পেয়ে থাকেন। এটি মূলত কনটেন্ট শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম যেখানে ইউজাররা বিভিন্ন বিষয়ের উপর কনটেন্ট পড়ে পয়েন্ট অর্জন করে থাকেন এবং সেই পয়েন্টগুলো পরবর্তীতে নগদে রূপান্তর করা হয়। এখান থেকে আয় করার জন্য প্রথমে এই অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হয়।

গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপেল অ্যাপ স্টোর থেকে এই অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিজস্ব মোবাইল নম্বর বা সোশ্যাল  একাউন্ট দিয়ে রেজিস্ট্রেশন বা লগইন করতে হবে। এরপর এই অ্যাপের ভিতরে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে থাকা বিভিন্ন পোস্ট পড়তে পারবেন এবং সেগুলো পড়ার মাধ্যমে আপনি নির্দিষ্ট পয়েন্ট অর্জন করবেন। এখানে বিভিন্ন শেয়ারিং অপশন থাকে। অর্থাৎ আপনিও আপনার ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ অথবা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াতে এই পোস্টগুলো শেয়ার করার মাধ্যমে অতিরিক্ত পয়েন্ট অর্জন করতে পারবেন।

Wexopay থেকে অনলাইন ইনকাম করার সুযোগঃ  এটি একটি অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে যা মূলত ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সারদের পেমেন্ট প্রক্রিয়াকে সহজ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। এটি ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের পেমেন্ট সলিউশন প্রদান করে থাকে। অর্থাৎ এটির মাধ্যমে অনলাইনে সহজে পেমেন্ট গ্রহণ করা যায়। ব্যবসায়ীরা পণ্য বিক্রি করার জন্য এবং ফ্রিল্যান্সাররা তাদের কাজ করার জন্য এই মাধ্যম থেকে পেমেন্ট গ্রহণ করতে পারে।

এটি ব্যবহার করার জন্য প্রথমে এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যে বিভিন্ন তথ্য প্রদান করার মাধ্যমে সাইন আপ করতে হবে। এরপর এখানে ব্যবসায় বা ফ্রিল্যান্সিং এর প্রোফাইল পূরণ করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করতে হবে। তারপর পেমেন্ট মেথড হিসেবে আপনার বিকাশে তথ্য দিয়ে পূরণ করুন। ফ্রিল্যান্সিং থেকে শুরু করে ই কমার্স, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, অনলাইন কোর্স ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রে পেমেন্টের মাধ্যমে হিসেবে Wexpay ব্যবহার করতে পারবেন।

 আরো পড়ুনঃ মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায়

ডেটা এন্ট্রি করে অনলাইন ইনকামঃ ফ্রীলান্সিং এর মাধ্যমে টাকা আয়ের যাত্রা শুরুর জন্য ডেটা এন্ট্রি একটি সহজ উপায়। ফ্রীলান্সিং এর অন্যান্য সেক্টর গুলোর তুলনায় এটি তুলনামুলক সহজ বলে অনেকেই এটিকে বেঁছে নেয়। আপনার যদি মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ও মাইক্রোসফট এক্সেল নিয়ে ভালো ধারনা থাকে তাইলে আপনিও ডেটা এন্ট্রির কাজ করতে পারবেন। কেননা এটি এমন একটি কাজ যেখানে ক্লায়েন্টের ডেটা ইলেকট্রনিক্স বা ডিজিটালাইজ উপায়ে ক্লায়েন্টকে তৈরি করে দেওয়া হয়। 

ডেটা এন্ট্রি একটি সহজ কাজ হলেও কম্পিউটারের বেসিক জ্ঞান না থাকলে এটি করা সম্ভব নয়। এজন্য কম্পিউটার বেসিক জ্ঞান, টাইপিং দক্ষতা, বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহারের দক্ষতা, যোগাযোগের দক্ষতা ইত্যাদি থাকা জরুরী। ইউটিউবে বিভিন্ন ফ্রি ভিডিও দেখে এই বিষয়ে প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা অর্জন করা যায়। এগুলোকে কাজে লাগিয়ে এক মাসের মধ্যেই চাইলে এই বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করা সম্ভব।

অনলাইন ইনকাম সাইট বিকাশ পেমেন্ট

অনলাইন ইনকাম সাইট বিকাশ পেমেন্ট নিয়ে আমরা ইতিমধ্যে অনেক গুলো উপায় সম্পর্কে উপর জেনেছি। এগুলো ছাড়াও আরো কয়েকটি মাধ্যম রয়েছে যেগুলোতে কাজ করে বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট সংগ্রহ করা সম্ভব। চলুন সেগুলো সম্পর্কে এখন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।
  • ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যানসিঃ এটি বলতে মূলত অনলাইনে বিভিন্ন বিভিন্ন ছোট ব্যবসায়ের জন্য অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করাকে বোঝায়। যেমন ইমেইল পরিচালনা, ক্যালেন্ডার পরিচালনা, কমেন্ট বা মেসেজের রিপ্লাই, ফোন কলের উত্তর দেওয়া, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট তৈরি, সোশ্যাল মিডিয়া পরিচালনা, ডেটা এন্ট্রি ইত্যাদি করার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি অনলাইনে কাজ করতে পারেন এবং তার পেমেন্ট বিকাশে নিতে পারেন।
  • ভিডিও এডিটিংঃ ভিডিও এডিটিং এ আপনি যদি দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে খুব সহজেই এটির মাধ্যমে অনলাইনে বিভিন্ন কাজ করতে পারবেন। কেননা এরকম অনেক ক্লায়েন্ট রয়েছেন যারা তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসের ভিডিও বানানোর জন্য দক্ষ কোনো ভিডিওগ্রাফারকে খোঁজ করে থাকেন। আপনি যদি সৃজনশীল এবং অভিজ্ঞ থেকে থাকেন তাহলে খুব সহজেই এ সকল ক্লায়েন্টদের কাজ করে দিয়ে বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট গ্রহণ করতে পারেন।
  • কোচিং বা অনলাইন টিউশনিঃ অনলাইনে শিক্ষকতা করার মাধ্যমেও আয় করা সম্ভব। আপনি যে বিষয়ে দক্ষ বা জ্ঞানী তা অন্যদের কাছে অর্থের বিনিময়ে বিক্রি হতে পারে এবং যাদের কাছে আপনার কোর্স বা সেবা দিবেন তাদের থেকে বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট গ্রহণ করা সম্ভব।
  • দারাজ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংঃ এটি হচ্ছে একটি অনলাইন প্লাটফর্ম যেখানে আপনি দারাজ এর বিভিন্ন পণ্য প্রচার করার মাধ্যমে কমিশন অর্জন করতে পারবেন। এটি শুরু করার জন্য দারাজের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে রেজিস্ট্রেশন করে একটি একাউন্ট খুলতে হবে।
  • অনুবাদক বা ট্রান্সলেটরঃ আপনার যদি বিভিন্ন ভাষা সম্পর্কে ভালো ধারনা থেকে থাকে তাহলে আপনি অনুবাদ বা ট্রান্সলেট করার মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম করতে পারেন। কেননা অনেক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অনেক সময় এমন ব্যক্তিকে খোঁজে যারা আরবি, ফারসি বা উর্দু বিভিন্ন ভাষায় দক্ষ। তাদের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয় ইংরেজিতে ট্রান্সলেট করার প্রয়োজন হয়। সুতরাং কেউ যদি বিভিন্ন ভাষায় দক্ষ হয়ে থাকে তাহলে এই কাজ গুলো করতে পারে।
  • ডিজিটাল মার্কেটিংঃ ডিজিটাল মার্কেটিং করে বিভিন্ন উপায়ে আয় করা সম্ভব এবং এবং পেমেন্ট গ্রহণের মাধ্যমে হিসেবে বিকাশ ব্যবহার করা যাবে। ডিজিটাল মার্কেটিং এ বিভিন্ন ধরনের কাজ করা হয় যেমন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, কনটেন্ট রাইটিং, ইমেইল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইনিং ইত্যাদি। এগুলোর যে কোন একটি বা একাধিক বিষয়ের উপর দক্ষতা থাকতে হবে।

দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম করার অ্যাপ

দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম করার অ্যাপ সম্পর্কে এখন আমরা বিস্তারিত জানবো। কেননা এমন কিছু অ্যাপ রয়েছে যেগুলোতে বিশেষ কিছু দক্ষতার মাধ্যমে বা অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সহজে আয় করা সম্ভব। যেমন -

 আরো পড়ুনঃ ফেসবুক আইডি রেস্ট্রিক্টেড হলে করণীয়


  • ফেসবুক অ্যাপঃ ফেসবুকে পণ্য বিক্রি বা লাইভ সেলিং বা কনটেন্ট ক্রিয়েট করার মাধ্যমে ফেসবুক থেকে দৈনিক ইনকাম করা সম্ভব। এছাড়াও কোন একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে পেজ বা গ্রুপ বানিয়ে সেখানে টিউটোরিয়াল ভিডিও আপলোড করে ফলোয়ার বৃদ্ধি করার মাধ্যমে আয় করা সম্ভব।
  • ফাইবার অ্যাপঃ ফাইবার আর বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস গুলোর মধ্যে একটি। যেখানে আপনি আপনার দক্ষতা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের কাজ করে দৈনিক ৫০০ টাকা কিংবা তারও বেশি ইনকাম করতে পারবেন।
  • Ysense অ্যাপঃ‌ এই অ্যাপটি‌ থেকে মানুষ বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে আয় করতে পারেন। আর এর জন্য কোন বিশেষ ধরনের দক্ষতা বা ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না। ঘরে বসে ইনকাম করার মাধ্যমে হিসেবে এই অ্যাপটি ব্যবহার করা যায়।
  • Alamy অ্যাপঃ এই অ্যাপটির মাধ্যমে আপনি ছবি বিক্রি করে দিনে ৫০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে ছবি তোলার ক্ষেত্রে বেশ দক্ষ ও নিপুণ হতে হবে। কেননা বর্তমানে এটি একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট। এখানে দক্ষতার সাথে যত ভালো ছবি তুলে দিতে পারবেন ততই বেশি টাকা আয় করা সম্ভব।
  • Youtube অ্যাপঃ‌ ইউটিউব অ্যাপ এর মাধ্যমেও দৈনিক ৫০০ টাকা ইনকাম করা সম্ভব। কেননা একজন ইউডিওবার প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা ইনকাম করার সুযোগ পেয়ে থাকে। কিন্তু প্রথম অবস্থায় এটির জন্য দক্ষতা ও ধৈর্য শক্তি প্রয়োজন। মানসম্মত ও সময় উপযোগী কন্টেন্ট ভিডিও বানানোর মাধ্যমে মানুষের কাছে পরিচিত লাভ করে এই সেক্টরে সফল হতে হয়।
  • টফি অ্যাপঃ টফি অ্যাপ ব্যবহার করেও বিভিন্ন ভিডিও বা কনটেন্ট পাবলিশ করা যায়। এবং সেখান থেকে ইনকাম করা অর্থ সরাসরি বাংলাদেশের যেকোনো ব্যাংক অথবা মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ, রকেট, নগদ ইত্যাদি মাধ্যমে গ্রহণ করা সম্ভব। এই অ্যাপে ফেসবুক, ইউটিউবের মতোই ভিডিও শেয়ারিং এর অপশন থাকে।
  • Upwork অ্যাপঃ এটিও ফাইবারের মতো জনপ্রিয় আরেকটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস। এখানে বিভিন্ন বিষয়ের উপর দক্ষতা অর্জন করার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সাররা দৈনিক ৫‌ থেকে ১০ ডলার বা তারও বেশি ইনকাম করার সুযোগ পেয়ে থাকে।
    দিনে ৫০০ টাকা আয়ের উপায়

  • Freemoji Lottery: গুগলে freemoji.com লিখে সার্চ করলে খুব সহজেই এটির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটটি পাওয়া যায়। সেখানে আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন তাহলে "জয়েন ইন দা ফান" অপশনে ক্লিক করে তাদের ওয়েবসাইটে জয়েন হয়ে যেতে পারবেন।এরপর এখানে প্রতিদিন যে ড্র হয় তা থেকে আপনি ডলার জিততে পারবেন।
  • MPL অ্যাপঃ Mobile Premier League মূলত একটি গেমিং ওয়েবসাইট। এখানে নানান গেম খেলার মাধ্যমে টাকা ইনকামের সুযোগ থাকে। আবার গেম খেলে টাকা ইনকামের পাশাপাশি বিভিন্ন কুইজ খেলারও সুযোগ থাকে যার মাধ্যমে টাকা আয় করা যায়। মাঝে মাঝে এই প্লাটফর্মে বিভিন্ন প্রকার ফ্রী লটারি খেলে টাকা ইনকামের সুযোগ দেওয়া হয়। যার মাধ্যমে অনেক মানুষ প্রতিনিয়ত বিভিন্ন বোনাসের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারে।
  • Swagbucks অ্যাপঃ এই অ্যাপের মাধ্যমে ভিডিও দেখা, সার্ভে এবং অন্যান্য কার্যাবলী সম্পন্ন করার মাধ্যমে পয়েন্ট অর্জন করা যায়। এ পয়েন্টগুলো পরবর্তীতে নগদ বা গিফট কার্ডে রূপান্তরিত হয় এবং বিভিন্ন পেমেন্ট মেথড যেমন বিকাশ, রকেট বা নগদের মাধ্যমে সংগ্রহ করা সম্ভব।
  • অনলাইন টেস্টিং অ্যাপঃ User testing, TryMyUl, Testbirds, Lookback, Userlytics ইত্যাদি জনপ্রিয় কিছু অনলাইন টেস্টিং প্লাটফর্ম। যেখানে ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন সফটওয়্যার, ওয়েবসাইট বা অ্যাপ টেস্ট করে তাদের কার্যকারিতা সম্পর্কে মতামত দেন। সফলভাবে এই কাজ সম্পাদনের মাধ্যমে সাধারণত ১০ থেকে ৬০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করা সম্ভব। নিয়মিত কাজ করতে পারলে দৈনিক কিংবা সাপ্তাহিক ভিত্তিতে আয় হবে।
  • Esty অ্যাপঃ এটি হলো একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেখানে হ্যান্ডমেড, ভিন্টেজ অথবা কাস্টম করা বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করে ব্যবহারকারীরা আয় করতে পারেন। এটি মূলত আর্টওয়ার্ক বা ক্রাফটের জন্য বেস্ট জনপ্রিয়। এখানে পণ্যের ধরন, মান এবং মার্কেটিং কৌশলের উপর আয় নির্ভর করে।
  • Clickworker: এটি হলো একটি মাইক্রো জব প্ল্যাটফর্ম। এখানে ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন ধরনের ছোট ছোট কাজ সম্পন্ন করে আয় করতে পারেন। যেমন ডেটা এন্ট্রি, সার্ভে পুরণ, লেখালেখি, ছবি নির্বাচন ইত্যাদি। এখানে আয়ের পরিমাণ কাজের প্রকারভেদ ও পরিমানের উপর নির্ভরশীল।নিয়মিত কাজ করার মাধ্যমে এখান থেকে আপনি কিছু টাকা উপার্জন করতে পারেন।
  • OLX: এই অনলাইন মার্কেটপ্লেসটিতে ব্যবহারকারীরা নতুন বা ব্যবহৃত পণ্য ক্রয়-বিক্রি করতে পারেন। এজন্য OLX- এর ওয়েবসাইটে বা অ্যাপসে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হয়। এরপর আপনি যে পণ্যটি বিক্রি করতে চান তার বিস্তারিত তথ্য, ছবি ও মুল্য সেখানে প্রকাশ করুন। পণ্যটি বিক্রির জন্য যোগাযোগ করতে হবে।

শেষ কথাঃ অনলাইনে টাকা ইনকাম করার উপায়

অনলাইনে টাকা ইনকাম করার উপায় গুলো সম্পর্কে উপরে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এই আলোচনা থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট যে আপনি যদি অনলাইনে ইনকাম করে লাভবান হতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে কোন না কোন বিষয়ে দক্ষ হতে হবে। দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েই এই সেক্টরগুলো থেকে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। আশা করি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছে। আর্টিকেলটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অন্যদের সাথে অবশ্যই শেয়ার করুন এবং পরবর্তীতে কোন বিষয়ে আর্টিকেল পড়তে চান তা কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ!

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url