পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করার উপায়
পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করার উপায় গুলো কী সেই ব্যাপারে আমরা অনেকেই ঠিক মতো
জানিনা। এজন্য আমাদের দেশের ছাত্র ছাত্রীদের একটি বড় অংশ তাদের ছাত্র জীবনে
আয়ের কোনো সুযোগ পায় না।
কিন্তু পড়াশোনার পাশাপাশি আয়ের একটি উৎস থাকা বর্তমানে খুবই জরুরী হয়ে পড়েছে।
আজকের আর্টিকেল কিভাবে পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করা যায় সেই সম্পর্কে আমরা
বিস্তারিত জানবো ।
পেজ সূচীপত্রঃ পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করার উপায়
- পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করার উপায়
- পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করার অনলাইন উপায়
- স্থানীয় দোকান বা রেস্টুরেন্টে পার্ট টাইম জব
- পার্ট টাইম জব হিসেবে ফুডকার্টের ব্যবসায়
- ফটোগ্রাফি বা ভিডিওগ্রাফি করে আয়
- গার্ডেনিং বা ল্যান্ডস্কেপিং করে পড়াশোনার পাশাপাশি আয়
- টিউশনের মাধ্যমে পড়াশোনার পাশাপাশি আয়
- মেহেদী আর্টের মাধ্যমে পড়াশোনার পাশাপাশি আয়
- হ্যান্ডমেড পণ্য বিক্রি করে পড়াশোনার পাশাপাশি আয়
- পড়াশোনার পাশাপাশি অনলাইনে আয় করার উপায়
- অনলাইন টিউশনি করে আয়
- রিসেলিং এর বিজনেস করে আয়
- ভিডিও এডিটিং করে আয়
- ইউটিউব এর মাধ্যমে ঘরে বসে আয়
- ফেসবুকের মাধ্যমে ঘরে বসে আয়
- অনলাইনে মেন্টরিং সেবা প্রদান করে পড়াশোনার পাশাপাশি আয়
- ব্লগিং করে পড়াশোনার পাশাপাশি আয়
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে পড়াশোনার পাশাপাশি আয়
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করে পড়াশোনার পাশাপাশি আয়
- গ্রাফিক্স ডিজাইন করে পড়াশোনার পাশাপাশি আয়
- অনুবাদক বা ট্রান্সলেটর হিসেবে পড়াশোনার পাশাপাশি আয়
- আর্টিকেল লিখে পড়াশোনার পাশাপাশি আয়
- পড়াশোনার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করার উপায়
- শেষ কথা- পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করার উপায়
পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করার উপায়
পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করার উপায় অনেক রয়েছে। এক্ষেত্রে প্রয়োজন সঠিক
দিকনির্দেশনা, সময়ের সঠিক ব্যবহার ও ব্যক্তিগত দায়িত্ববোধ। একটি সঠিক পরিকল্পনা
ও দক্ষতার ভিত্তিতে অফলাইন ও অনলাইন উভয়ের মাধ্যমেই পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করা
সম্ভব। যেহেতু পড়াশোনার খরচ, বই, যাতায়াত বা আরো কিছু কারণে শিক্ষার্থীদের
টাকার প্রয়োজন হয়ে থাকে তাই অনেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করার একটি ভালো উৎস
খুঁজে থাকেন।
আবার অনেকেই নিজের হাত খরচ মেটানোর পর পরিবারের জন্য অর্থ প্রেরণ বা সঞ্চয় করে
রাখতে চায়। এছাড়াও নিজে অর্থ উপার্জন করার মাধ্যমে আত্মবিশ্বাসী ও স্বাবলম্বী
হওয়ার একটি সুযোগ তৈরি হয়। অনেকে নানান ধরনের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে যা
পরবর্তীতে জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বা ক্যারিয়ার গঠনের কাজে সহায়তা করে থাকে।
এখন আমরা পড়াশোনা পাশাপাশি আয় করার হিসেবে একাধিক উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত
আলোচনা করবো।
পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করার অফলাইন উপায়
পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করার অফলাইন উপায় বলতে এমন কাজ করাকে বুঝায় যেগুলো করার
জন্য আপনাকে বাড়ির বাইরে যেতে হবে। একজন শিক্ষার্থী বিভিন্ন উপায়ে
পড়াশোনা পাশাপাশি অফলাইনে নানান কাজের মাধ্যমে আয়ের একটি ভালো সুযোগ তৈরি
করতে পারে। এগুলো সম্পর্কে এখন আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো।
স্থানীয় দোকান বা রেস্টুরেন্টে পার্ট টাইম জবঃ একজন শিক্ষার্থীদের জন্য
পার্ট টাইম জব হিসেবে কোন দোকান বা রেস্টুরেন্টে কাজ করা আয়ের একটি উৎস হতে
পারে। আমাদের আশেপাশে বিভিন্ন দোকান, শোরুম বা রেস্টুরেন্ট রয়েছে এবং দিন দিন এর
সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এ সকল প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের প্রয়োজনে প্রায় সময়েই
বিভিন্ন ক্যাটাগরির কর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকে। অনেকেই ক্যাশিয়ার, ম্যানেজার বা
সেলসম্যান হিসেবে এই পদগুলোতে পার্ট টাইম জব এর অফার দিয়ে থাকে।
রেস্টুরেন্টগুলোতেও কুক, কিচেন অ্যাসিস্ট্যান্ট, সেলস অ্যাসিস্ট্যান্ট, ওয়েটার
ইত্যাদি নানান ধরনের কাজের জন্য কর্মী প্রয়োজন হয়ে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই
পদ গুলোতে বিভিন্ন লেভেলের শিক্ষার্থীদের দেখা যায় কেননা এখানে পার্ট টাইম জব
করে ইনকাম করার পাশাপাশি পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া যায়। কাজেই কিছু প্রয়োজনে
প্রস্তুতির মাধ্যমে এই কাজগুলোতে যুক্ত হয়ে ইনকাম করা সম্ভব। যেমন একটি রিজিউম
তৈরি করে সেখানে নিজের পরিচয় এবং সকল তথ্য উল্লেখ করতে হবে।
কাজের সুযোগ খোঁজার জন্য আশেপাশের বিভিন্ন নতুন প্রতিষ্ঠান বা রেস্টুরেন্টগুলোতে
যেয়ে কথা বলতে হবে।অনেক সময় অনলাইনে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে এ সকল
প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে থাকে। সেগুলো থেকেও চাইলে যোগাযোগ করে
কাজের জন্য অ্যাপ্লিকেশন করা যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কাজের আগে একটি প্রশিক্ষণ
দেওয়ার ব্যবস্থা থাকে। যার ফলে খুব সহজেই প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ শুরু করার যায়
আবার চাইলে বড়দের কাছ থেকেও বিভিন্ন ধরনের সাজেশন নেওয়া যায়।
পার্ট টাইম জব হিসেবে ফুডকার্টের ব্যবসায়ঃ একজন শিক্ষার্থী তার
পড়াশোনার পাশাপাশি পার্ট টাইম জব হিসেবে ফুডের বিজনেস শুরু করতে পারে। বিভিন্ন
ধরনের ছোট ছোট ফাস্ট ফুড বা জুসের আইটেম দিয়ে এই যাত্রা শুরু করা যেতে পারে।
একজন শিক্ষার্থী দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে এই কাজটি করে আয় করার পাশাপাশি তার
পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে কয়েকজন বন্ধু মিলে একসাথে এই কাজ শুরু
করা যেতে পারে। এর জন্য বিশেষ কিছু দিক খেয়াল রাখতে হবে।
আরো পড়ুনঃ ফেসবুক আইডি রেস্ট্রিক্টেড হলে করণীয়
যেমন ব্যবসায়ের স্থান, ফুড কার্টের গাড়ি কেনা বা ভাড়া নেওয়া, রান্নার যাবতীয়
জিনিসপাতি, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ ইত্যাদি। এগুলোর পাশাপাশি সঠিক পরিকল্পনা
অবশ্যই থাকতে হবে যেমন কাজের সময়সূচি, বাজেট, আয়-ব্যয়ের হিসাব ইত্যাদি।
এছাড়াও কোন ধরনের গ্রাহকদের কাছে ব্যবসায়টি উপযুক্ত তা বিবেচনা করে সেইরকম
স্থানে ব্যবসায় স্থাপন করতে হবে। খাওয়ার মান, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, ও গ্রাহক
পরিষেবা সঠিকভাবে নিশ্চিত করার মাধ্যমে এখান থেকে শিক্ষার্থীরা আয় করতে পারবেন।
ফটোগ্রাফি বা ভিডিওগ্রাফি করে আয়ঃ একজন শিক্ষার্থী চাইলে ফটোগ্রাফি কিংবা
ভিডিওগ্রাফি করার মাধ্যমেও পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করতে পারে। এটির জন্য
ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফিতে দক্ষতা থাকা প্রয়োজন। ফটোগ্রাফি বা ভিডিওগ্রাফির
মৌলিক বিষয়গুলো শিখে ও অনুশীলন করার মাধ্যমে এই দক্ষতা বৃদ্ধি করা সম্ভব।
বর্তমানে অনলাইনে বিভিন্ন সামাজিক মিডিয়া বা ওয়েবসাইটে এই ফটোগ্রাফি কিংবা
ভিডিওগ্রাফি সংক্রান্ত নানান কাজ প্রদর্শনের সুযোগ দেওয়া হয়ে থাকে।
এখানে একজন শিক্ষার্থী চাইলে তার কাজের একটি কালেকশন তৈরি করে সেগুলো শেয়ার করতে
পারে। এতে অনেকেই তার কাজ বা দক্ষতা সম্পর্কে জানতে পারবে এবং বিভিন্ন ইভেন্টে
কাজের জন্য হায়ার করতে চাইবে। যেমন জন্মদিন, বিয়ে কিংবা অন্যান্য অনুষ্ঠানে
একজন ভালো ফটোগ্রাফার ও ভিডিওগ্রাফারের চাহিদা বর্তমানে অনেক। কাজেই একজন
শিক্ষার্থী তার পড়াশোনার পাশাপাশি ফটোগ্রাফি বা ভিডিওগ্রাফি করে একটি ভালো মানের
আয় করতে পারে।
গার্ডেনিং বা ল্যান্ডস্কেপিং করে পড়াশোনার পাশাপাশি আয়ঃ একজন
শিক্ষার্থীর যদি গাছপালা চাষ ও এর পরিবেশ সম্পর্কে ভালো ধারণা থেকে থাকে তাহলে সে
সহজেই গার্ডেনিং বা ল্যান্ডস্কেপিং করার মাধ্যমে পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করতে
পারে। একটি অঞ্চলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য কিভাবে গাছপালা চাষ করা যায় বা
যত্ন নেওয়া যায় এবং ফুলের বাগান তৈরি করা যায় এই সকল বিষয় নিয়ে কাজ করাকে
মূলত গার্ডেনিং বা ল্যান্ডস্কেপিং বলা হয়।
আরো পড়ুনঃ মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
একজন শিক্ষার্থীর যদি এই সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থেকে থাকে এবং সে যদি সৃজনশীল হয়
তাহলে খুব সহজেই আশেপাশে বিভিন্ন মাধ্যমে এই কাজের জন্য ক্লায়েন্ট খুঁজে পেতে
পাবে। এটি একজন শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে শুধু আয়ের একটি মাধ্যম নয় বরং তার
ব্যবস্থাপনা দক্ষতা, সঠিক পরিকল্পনা ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধির একটি ভালো সুযোগ যা
পরবর্তীতে বিভিন্ন চাকরির ক্ষেত্রে উপকারে এসে থাকবে।
টিউশনের মাধ্যমে পড়াশোনার পাশাপাশি আয়ঃ শিক্ষার্থীদের জন্য পড়াশোনার
পাশাপাশি আয়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হলো টিউশনি। অন্যান্য কোনো কাজ করে
আয় করার চেয়ে শিক্ষার্থীরা টিউশনি করে আয় করাকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন।
এটির ফলে আয় করার পাশাপাশি নিজেদের জ্ঞানেরও বৃদ্ধি হতে থাকে। আপনি যদি একজন
শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন এবং আপনার যদি নির্দিষ্ট কোনো বিষয়বস্তুর উপর ভালো জ্ঞান
বা দক্ষতা থেকে থাকে তাহলে তা অন্যদেরকে শেখানোর মাধ্যমে আপনি আয় করতে
পারবেন।
টিউশনির মাধ্যমে একই সময় একের চেয়ে অধিক ছাত্র-ছাত্রীকে পড়িয়ে একটি ভালো
মানের অর্থ আয় করা সম্ভব। আবার অনেকেই বিভিন্ন কোচিং প্রতিষ্ঠানে যুক্ত হতে
পারেন। এবং এখানে শিক্ষকতা কিংবা অন্যান্য কাজ যেমন ম্যানেজার হিসেবে কাজ করে
পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করতে পারেন। এই সেক্টর গুলোতে সাধারণত পার্ট টাইম হিসেবে
জব করা যায়। যার ফলে নিজের পড়াশোনা ঠিকমতো চালিয়ে যাওয়ারও সুযোগ থাকে।
মেহেদী আর্টের মাধ্যমে পড়াশোনার পাশাপাশি আয়ঃ মেহেদী আর্টের বিজনেস
পড়াশোনার পাশাপাশি আয়ের একটি ভালো উৎস হতে পারে। বিশেষ করে মেয়েদের জন্য এই
মাধ্যমটি বেশ উপযোগী এবং জনপ্রিয়ও বটে। আমাদের মধ্যে অনেকেই যারা সুন্দর করে
মেহেদী দিতে পারে তারা চাইলেই এটির সাহায্যে একটি ছোট বিজনেসে তৈরি করতে পারে।
বিভিন্ন অনুষ্ঠান যেমন জন্মদিন, বিয়ে, নববর্ষ, ঈদ, পূজা ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রে
মেয়েদের মেহেদি ব্যবহার করতে দেখা যায়।
তাই এই সকল ইভেন্টকে কাজে লাগিয়ে খুব সহজেই মেহেদী আর্টের বিজনেস দ্বারা অর্থ
উপার্জন করা সম্ভব। আবার অনেক পার্লার রয়েছে যেখানে মেহেদী আর্টিস্টদের একটি
ভালো স্যালারির বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়া হয়। সেখানে পার্ট টাইম জব হিসেবে নিজেদের
যুক্ত করে পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করার একটি দারুণ মাধ্যম তৈরি করা সম্ভব।
হ্যান্ডমেড পণ্য বিক্রি করে পড়াশোনার পাশাপাশি আয়ঃ একজন
শিক্ষার্থী চাইলে বিভিন্ন হ্যান্ডমেড জিনিস বানিয়ে তা বিক্রি করার মাধ্যমে আয়
করতে পারে। যেমন
- বিভিন্ন ধরনের কাস্টমাইজ জুয়েলারি যেমন চুরি, নেকলেস, কানের দুল ইত্যাদি।
- ডিজাইন করার টি-শার্ট, ব্যাগ, পোশাক ইত্যাদি।
- ক্র্যাফট জাতীয় জিনিসের মধ্যে ক্যান্ডেল, ফুলদানি, ওয়ালপেপার বা বৃহসজ্জার বিভিন্ন জিনিস ইত্যাদি।
- আর্ট ও পেইন্টিং এর ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের স্কেচ করা ছবি, পেইন্টিং বা অন্যান্য ভিজ্যুয়াল ইমেজ ইত্যাদি।
- হাতে তৈরি বিভিন্ন ধরনের নোটবুক, বুকমার্কস, জার্নাল, ডায়েরি, স্ক্র্যাপবুকস, পেন ইত্যাদি।
- বিভিন্ন ধরনের কাস্টমাইজ গিফট প্যাকেট বা গিফট বক্স বক্স ইত্যাদি।
এইসব পণ্য তৈরির মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী তার পড়াশোনার পাশাপাশি পার্ট টাইম
বিজনেস করতে পারে। এসকল পণ্য প্রচার করার জন্য বিভিন্ন ধরনের সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যম ব্যবহার করা যেতে পারে যেখানে এ পণ্যগুলোর বিস্তারিত তথ্য, ছবি ও ভিডিও
প্রচার করে মানুষকে জানানো হবে। বন্ধুবান্ধব কিংবা আত্মীয়-স্বজনদের কাছে প্রচার
করার মাধ্যমেও এই কাজ শুরু করা সম্ভব।
পড়াশোনার পাশাপাশি অনলাইনে আয় করার উপায়
পড়াশোনার পাশাপাশি অনলাইনে আয় করার উপায় গুলোও বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় ও
লাভজনক। অনলাইনে আয় করার মাধ্যম বলতে সেই সকল কাজকে বোঝায় যেগুলো করে আয় করার
জন্য সাধারণত একজন ব্যক্তিকে বাড়ির বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না অর্থাৎ ঘরে
বসেই সে ইনকাম করতে পারে। একজন শিক্ষার্থীর জন্য এটি বেশ উপযোগী। চলুন তাহলে
পড়াশোনার পাশাপাশি ঘরে বসে না অনলাইন মাধ্যমে আয় করার কয়েকটি মাধ্যম সম্পর্কে
জেনে নেওয়া যাক।
অনলাইন টিউশনি করে আয়ঃ আমরা আগেই জেনেছি যে একজন শিক্ষার্থীর কাছে আয়
করার মাধ্যম হিসেবে টিউশনি অত্যন্ত জনপ্রিয়। এই টিউশন অফলাইনের পাশাপাশি
অনলাইনেও করা সম্ভব। বরং এটি আরো সহজ ও লাভজনক। অনলাইনে বিশেষত ফেসবুক কিংবা
টেলিগ্রাম ইউজ করে এক শহরে অবস্থান করেও বিভিন্ন শহরের শিক্ষার্থীদেরকে টিউশনি
সেবা প্রদান করে আয় করা যায়। এবং এটির পিছনে বেশি সময়ও ব্যয়িত হয় না।
অনলাইনে টিউশনি করার জন্য আপনি যে বিষয়ে দক্ষ তা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম কিংবা লিঙ্কডইন এর মাধ্যমে শিক্ষার্থী বা অভিভাবকদের কাছে
প্রচার করতে হবে। অনলাইনে একই সাথে একজন অথবা একাধিক শিক্ষার্থীকে পড়ানোর সুযোগ
রয়েছে। লাইভ বা জুমের মাধ্যমে ক্লাস করানোর পাশাপাশি পূর্বে রেকর্ড করা ভিডিও
দিয়েও এই কাজ করা সম্ভব। এতে একসাথে ভিডিও বানিয়ে নিলে পরবর্তীতে কাজের চাপ কমে
যাওয়ার সুযোগ থাকে।
রিসেলিং এর বিজনেস করে আয়ঃ অনলাইনে রিসেলিং এর বিজনেস করেও একজন
শিক্ষার্থী পড়াশোনার পাশাপাশি অর্থ উপার্জন করতে পারে। রিসেলার ব্যবসা হলো মূলত
একটি ব্যবসায়িক মডেল যেখানে পণ্য ক্রয় করে পুনরায় তা বিক্রি করা হয়। অর্থাৎ
রিসেলার প্রথমে উৎপাদক কিংবা পাইকারের কাছ থেকে গ্রাহকের প্রয়োজনীয় পণ্য কিনে
তা সরাসরি গ্রাহকের কাছে বিক্রি করে। এক্ষেত্রে রিসেলার পাইকারের কাছ থেকে কম
মূল্য পণ্য ক্রয় করে এবং তার সাথে মার্জিন যোগ করে গ্রাহকের নিকট বিক্রি করে লাভ
করে।
এই কাজটি শুরু করার জন্য চাহিদা পূর্ণ ও জনপ্রিয় পণ্য খুঁজে বের করতে হবে এবং
সেগুলোর নেওয়ার জন্য অনলাইনে বিভিন্ন সরবরাহকারীর সাথে যোগাযোগ করতে হবে। যেমন
দারাজ, AjkerDeal, Shop.com.bd, Bengal E-commerce, Bangladesh E-Commerce
Association ইত্যাদি প্ল্যাটফর্ম গুলোতে আপনি সহজে সরবরাহকারী কিংবা পাইকারের
সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে আপনার প্রয়োজনে পণ্য ক্রয় করতে পারবেন।
ভিডিও এডিটিং করে আয়ঃ ভিডিও এডিটিং করে একজন শিক্ষার্থীর ঘরে বসে
পড়াশোনার পাশাপাশি অনলাইনে ইনকাম করতে পারেন। যে সকল ছাত্র-ছাত্রী ভিডিওগ্রাফি
বা ফটোগ্রাফিতে বেশ দক্ষ তাদের ক্ষেত্রে এটি একটি উপযুক্ত পেশা হিসেবে বিবেচিত
হতে পারে। অনেকেই এডিটিং এর কিছু সফটওয়্যার যেমন Adobe Photoshop, Canva,
Illustrator ইত্যাদি শেখার মাধ্যমে ছোট ছোট আয় করতে পারেন। আর এইসব বিষয়ে দক্ষ
হওয়ার পরে আয়ের পরিধি আরো বৃদ্ধি পায়।
ইউটিউব এর মাধ্যমে ঘরে বসে আয়ঃ বর্তমানে ইউটিউব এর মাধ্যমে ঘরে বসে আয়
করা একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। কোনো বিষয়ে আপনার দক্ষতা বা বিশেষ আগ্রহ থাকলে সেই
বিষয়কে কেন্দ্র করে সুন্দরভাবে ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে আপলোড করুন এবং মানুষের
কাছে প্রচার করার জন্য বিভিন্ন সোশ্যাল প্লাটফর্মে এগুলো শেয়ার করুন। এখান থেকে
যত বেশি মানুষ আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও দেখবে তত বেশি আপনার ইনকাম
হবে।
যদিও প্রথম অবস্থায় এটি বেশ সময়সাপেক্ষ এবং ধৈর্যের একটি কাজ। কিন্তু একবার
এখানে ভালো পর্যায়ে পৌঁছাতে পারলে বেশ ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব।
বিভিন্ন শিক্ষামূলক টিউটোরিয়াল, রান্নাবান্নার রেসিপি, গেমিং ভিডিও, ফিটনেস
টিউটোরিয়াল ইত্যাদি মানুষের কাছে গ্রহণীয় এবং পছন্দনীয় এমন কন্টেন্ট বানিয়ে
ইউটিউবে আপলোড করা যায়। এগুলো যেন মানসম্মত এবং রুচিশীল হয় সেদিকে বিশেষ খেয়াল
রাখতে হবে।
ফেসবুকের মাধ্যমে ঘরে বসে আয়ঃ ফেসবুককে শুধু টাইম পাসের মাধ্যমে হিসেবে
ব্যবহার না করে একজন শিক্ষার্থী চাইলে এটিকে পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করার উপায় বা মাধ্যম বানাতে পারেন। এখানেও ইউটিউবের মতো বিভিন্ন বিষয়ের উপর মানসম্মত কনটেন্ট ভিডিও
বানিয়ে আপলোড করা যায়। এবং উল্লেখযোগ্য ভিউয়ার এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন হয়ে
থাকে। প্রথম অবস্থায় ফেসবুক পেজ কিংবা গ্রুপ খুলে এই কাজ শুরু করা যায়।
পরবর্তীতে পেজে বা গ্রুপের মেম্বার বৃদ্ধি পেলে সেটিতে বিভিন্ন বিষয়ে বিজ্ঞাপন
কিংবা স্পন্সরশীপের মাধ্যমে আয় বাড়ানোর সুযোগ থাকে। এছাড়া ফেসবুকে বিভিন্ন
জিনিস বিক্রি করার মাধ্যমে একটি ছোট অনলাইন বিজনেস গঠন করা যায় যা থেকেও একজন
শিক্ষার্থী তার পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করতে পারেন। অর্থাৎ সঠিক পরিকল্পনা ও সময়
ব্যবস্থাপনাকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী তার অবসর সময়ে অর্থ
উপার্জন করতে পারেন।
অনলাইনে মেন্টরিং সেবা প্রদান করে পড়াশোনার পাশাপাশি আয়ঃ একজন শিক্ষার্থী যদি কোনো বিষয়ে বিশেষ ভাবে দক্ষ হয়ে থাকে তাহলে সেই
বিষয়ের উপর অনলাইনের মাধ্যমে মেন্টরিং সেবা প্রদান করে আয় করতে পারে। যেমন
ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, জুম, লিংকন্ডিন কিংবা একটি ওয়েবসাইট ইত্যাদি।
এখানে সোশ্যাল মিডিয়া গুলোকে প্রচার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
এবং ওয়েবসাইটে যে বিষয়ে দক্ষতা আছে কিংবা যেটিকে কেন্দ্র করে মেন্টরিং সেবা
দেওয়া হবে সেগুলোর সকল বিষয়বস্তু যেমন টিউটোরিয়াল বা ব্লগ প্রকাশ করা যেতে
পারে। মানুষ অর্থের বিনিময়ে এগুলো সেই ওয়েবসাইট থেকে কিনতে অথবা
ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে দেখতে বা শিখতে পারবে। এভাবে একজন শিক্ষার্থী মেন্টরিং
সেবা দেওয়ার মাধ্যমে পড়াশোনার পাশাপাশি অনলাইনে ইনকাম করতে পারে।
ব্লগিং করে পড়াশোনার পাশাপাশি আয়ঃ ব্লগিং হলো একটি অনলাইন
প্ল্যাটফর্মে নিয়মিত বিভিন্ন বিষয়ক কনটেন্ট লিখে প্রকাশ করার মাধ্যম। এটি হতে
পারে ব্যক্তিগত চিন্তা, ধ্যান ধারণা বা বিভিন্ন জায়গা থেকে রিসার্চ করা তথ্য।
শিক্ষা, প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, ভ্রমণ ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ের উপর
কনটেন্ট লেখা যায়। এগুলোর একেকটিকে বলা হয় ‘নিশ’। একজন শিক্ষার্থী তার সুবিধা
অনুযায়ী এক বা একাধিক নিশ বেছে নিয়ে ব্লগিং শুরু করতে পারেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে পড়াশোনার পাশাপাশি আয়ঃ অ্যাফিলিয়েট
মার্কেটিং হলো এমন একটি মার্কেটিং প্রক্রিয়া যেখানে একজন ব্যক্তি বা
প্রতিষ্ঠান অন্যের পণ্য অথবা সেবা প্রচার করে তা বিক্রি করার মাধ্যমে কমিশন
অর্জন করে থাকে। এই প্রক্রিয়ায় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার বিশেষ লিংক ব্যবহার
করে পণ্য বা সেবার প্রচার করে থাকে। সেই লিংকে প্রবেশ করার পর কোনো গ্রাহক যদি
সেই পণ্য বা সেবা গ্রহণ করে থাকেন তাহলে সেখান থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার
কমিশন পেয়ে থাকে।
আরো পড়ুনঃ আর্টিকেল লেখার নিয়ম- ব্লগে কন্টেন্ট লেখার নিয়ম
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করে পড়াশোনার পাশাপাশি আয়ঃ এটি হলো ওয়েবসাইট তৈরি
বা ওয়েব এপ্লিকেশন তৈরি করার প্রক্রিয়া। একজন শিক্ষার্থী পড়াশুনার পাশাপাশি
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করে আয় করতে পারেন আবার নিজের দক্ষতারও বৃদ্ধি করতে পারেন।
বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এই সম্পর্কিত নানান কাজ রয়েছে। সেখানে
ছোট ছোট প্রজেক্ট থেকে শুরু করে বড় ধরনের প্রজেক্টের কাজ করে ভালো পরিমাণের
অর্থ আয় করা সম্ভব।
গ্রাফিক্স ডিজাইন করে পড়াশোনার পাশাপাশি আয়ঃ এটি হলো ভিজুয়াল কনটেন্ট
তৈরি করার একটি প্রক্রিয়া। এখানে বিভিন্ন ধরনের ছবি, রং কিংবা ডিজাইনের
সমন্বয়ে বিভিন্ন ধরনের তথ্য, ধারণা বা অনুভূতি প্রকাশ করা হয়। বিভিন্ন
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস সহ নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার করার
মাধ্যমেও গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয় করা সম্ভব যা একজন শিক্ষার্থীর বিভিন্ন
বিষয়ে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি করতেও সক্ষম।
অনুবাদক বা ট্রান্সলেটর হিসেবে পড়াশোনার পাশাপাশি আয়ঃ একজন
শিক্ষার্থীর যদি বিভিন্ন ভাষা সম্পর্কে ভালো ধারনা থেকে থাকে তাহলে সে অনুবাদ
বা ট্রান্সলেট করার মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম করতে পারেন। কেননা অনেক ব্যক্তি বা
প্রতিষ্ঠান অনেক সময় এমন ব্যক্তিকে খোঁজে যারা আরবি, ফারসি বা উর্দু বিভিন্ন
ভাষায় দক্ষ। তাদের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয় ইংরেজিতে ট্রান্সলেট করার প্রয়োজন হয়।
সুতরাং কেউ যদি বিভিন্ন ভাষায় দক্ষ হয়ে থাকে তাহলে এই কাজ গুলো করতে পারে।
আর্টিকেল লিখে পড়াশোনার পাশাপাশি আয়ঃ আর্টিকেল লেখার চাকরি
বা জব করেও একজন শিক্ষার্থী অর্থ উপার্জন করতে পারে। বিভিন্ন ওয়েবসাইট
প্রতিনিয়ত অনেক বিষয়ে আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকে। অনেক বিষয়ে আর্টিকেল লেখার
জন্য অনেক সময় একাধিক ব্যক্তির প্রয়োজন হয়। তখন উক্ত ওয়েবসাইটের
মালিকরা দক্ষ আর্টিকেল রাইটার নিয়োগ দিয়ে থাকেন। যারা চাইলে ঘরে বসেই দক্ষতার
সাথে আর্টিকেল লেখার মাধ্যমে এই জবগুলো করতে পারেন।
পড়াশোনার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করার উপায়
পড়াশোনার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করার উপায় গুলো সম্পর্কে আমাদের
অনেকেরই বিস্তারিত বা সঠিক জ্ঞান নেই। যার কারণে অনেক শিক্ষার্থীই এই সেক্টরে
আসতে চায়না কিংবা আসলেও ব্যর্থ হয়। এর কারণ হলো ভুল দিক নির্দেশনা ফলো করা।
কিন্তু সঠিক দিক নির্দেশনার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী নিজের পড়াশোনার পাশাপাশি
ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে পারে। কিভাবে পড়াশোনার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করে
একজন শিক্ষার্থী আয় করতে পারে তা আমরা এখন বিস্তারিত জানবো।
দক্ষতা নির্ধারণ করাঃ ফ্রিল্যান্সিংয়ে যেহেতু সকল কাজ দক্ষতার ভিত্তিতে
করা হয় তাই এখানে আসার জন্য প্রথমে আপনি কোন বিষয়ে দক্ষ তা নির্ধারণ করে নিতে
হবে। কিংবা কোন ধরনের কাজ আপনি সহজে শিখে আয়ত্তে নিতে পারবেন তা খুঁজে বের করতে
হবে। যেমন
- লেখালেখি
- গ্রাফিক্স ডিজাইন
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
- ভিডিও এডিটিং
- ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি
অনলাইন প্লাটফর্ম নির্বাচন করাঃ ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য বিভিন্ন অনলাইন
প্লাটফর্ম রয়েছে যেগুলো বেশ জনপ্রিয়। সেগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি বা একাধিক
প্ল্যাটফর্ম বেঁছে নিতে হবে আপনার কাজের জন্য। যেমন
- ফাইবার
- আপওয়ার্ক
- ফ্রিল্যান্সার
- গুরু
- টপটাল ইত্যাদি
আরো পড়ুনঃ অনলাইনে টাকা ইনকাম করার উপায়
ছোটো ছোটো কাজ দিয়ে শুরু করাঃ ফ্রিল্যান্সিংয়ের শুরুর দিকে ছোট ছোট কাজ নেওয়া উচিত। এতে করে প্রথম অবস্থায় অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা উভয় বৃদ্ধি পায়। বড় কোনো ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। ছোট ছোট কাজ দক্ষতার সাথে করার ফলে ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে পজিটিভ ফিডব্যাক পাওয়া যায় যা পরবর্তীতে আপনার প্রোফাইলের জন্য সুফল বয়ে আনতে সক্ষম। ফিডব্যাকের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয়েই আপনার কাজের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারে।শেষ কথা- পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করার উপায়
পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করার উপায় গুলো সম্পর্কে আমরা উপরে বিস্তারিত উপস্থাপন
করার চেষ্টা করেছি। উপরে উল্লেখিত মাধ্যম গুলোতে সঠিকভাবে প্রচেষ্টা চালানোর
মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী তার পড়াশোনার পাশাপাশি কিছু পরিমাণ অর্থ আয় করতে পারবে
বলে আমরা আশাবাদী। আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে
অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। এবং পরবর্তীতে কোন বিষয়ের উপর আর্টিকেল পড়তে
চান তা আমাদেরকে কমেন্টে জানান। আজকের জন্য ধন্যবাদ!
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url